ঘন কুয়াশায় ভয়ে থাকে হাওর অঞ্চলের মানুষ
শীতকালে চোর-ডাকাতের উপদ্রব বেশি- আলি জামশেদ (নিকলী) কিশোরগঞ্জ
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শীতকালে ঘন কুয়াশায় অধিক ভয়ে থাকে হাওর অঞ্চলসহ নির্জন পরিবেশের বসতকারী ও পথচারীরা। বিক্ষিপ্ত স্থানের কিছু ঘটনার কারণেই এমন আতঙ্ক বয়ে বেড়ায় গ্রামের লোকালয় থেকে দূরের বিচ্ছিন্ন বসতিতে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে চোর-ডাকাতের উপদ্রব বেশি। এ সময় নৌপথে বাড়ে দুর্ঘটনাসহ ডাকাতদের দৌরাত্ম্য। প্রশাসনের ভাষ্য, শীতে অপরাধ কমানোতে কার্যকর ভূমিকা পালনে সঠিক প্রয়োগক্ষেত্র তৈরি ও রাজনৈতিক কুপ্রভাব মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অতীতের তুলনায় বর্তমানে ডাকাতি অনেকটা কমে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেক ভালো। বেড়েছে জনসচেতনতাও। গ্রাম-গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার, মোবাইল ফোন আর সিসি ক্যামেরা হয়েছে অনেটা সহায়ক। অপর দিকে চোরেরাও হয়েছে আগের তুলনায় অনেকটাই চালাক চতুর ও কৌশলিক। পাল্টিয়েছে তাদের অভিনব কৌশল। নেশাখোর চোর ও ডাকাতেরা এখন গাজা ও বাংলা মদের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদেশি মাদক, ইয়াবা ও হিরোইনের নেশায় আসক্ত হচ্ছে।
ঘন কুয়াশায় রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে সিএনজি, অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ সবধরনের ছোট যানচালক ও তাদের যাত্রীদের ভয় বেশি। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অলস আর শারীরিক দুর্বলরা কৃষিসহ ঠাণ্ডাজনিত নানান রোগের ভয়ে কাজে যেতে অনীহা দেখায়। এর ফলে পরিবারগুলোতে লেগে থাকে অনটন। তাদের অনেকেই অবৈধভাবে সহজ উপায়ে অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে চুরি ও ছিনতাইয়ের পথ বেছে নেয়। যে কারণে অপরাধ বাড়ে শীতকালে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, শীত মৌসুমে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকারাও নবকৌশলে কঠোর নজরদারি ও জননিরাপত্তায় নেয় সতর্ক অবস্থান। এ সময় দায়িত্বে থাকাদের ঝুঁকি ও কষ্ট অনেকগুণ বেড়ে যায়।
সচেতন মহলের ভাষ্য, জনসচেতনতা ও আধুনিক কলা কৌশল অবলম্বনই ভয় থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। এছাড়াও ঝুঁঁকিপূর্ণ স্থানগুলো নির্ধারিত করা। সেই সব স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকরী ভূমিকা, সেই সাথে এলাকার সাধারণ জনগণকেও অপরাধ দমনে উৎসাহিত করা।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, শীতকালে ঘন কুয়াশায় চোর-ডাকাতের উপদ্রব তুলনামূলক বেড়ে যায় এটা সত্য। এসব কারণে গতকাল (সোমবার) রাত ৩টা পর্যন্ত আমি নিজেও ডিউটি করেছি।
এ বিষয়ে কথা হয় পুলিশসহ বেশকিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন অফিসারের সাথে। তারাও এ সময়টায় অপরাধের প্রভাব বেশি বলে স্বীকার করেন। এ জন্য শীত মৌসুমে ভিন্নরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তবে দলীয় কুপ্রভাব বিস্তার না করলে আর দায়িত্বে থাকারা যথাযথ কার্যকর ভূমিকা পালন করলে অপরাধ কমে আসবে বলে যুক্তি তুলে ধরেন। আর এ অপরাধ কমলেই দূরীভূত হবে ভয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা