১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তীব্র শীতেও ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

রাবাইতারী গ্রামের লিটন ও সোবহান মই টেনে জমি প্রস্তুত করছেন : নয়া দিগন্ত -

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতের প্রভাব সত্ত্বেও মাঠে নেমে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। এ সময়টায় বীজতলা প্রস্তুত করা হলে সঠিক সময়ে রোপণ করা যায়, যা ফলনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কৃষকদের মতে, এই মৌসুমে সঠিক পদ্ধতিতে বীজতলা প্রস্তুত করতে পারলে ভালো চারা উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব। বোরো ধানের বীজতলা তৈরির এ ব্যস্ত সময়টি কৃষকদের জন্য একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছে। সময়মতো রোপণ ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এ বছর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সবাই।
সরেজমিন ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র শীতে কৃষকরা জমি প্রস্তুত, চারা লাগানোর উপকরণ এবং বীজ শোধনের কাজ করছেন।
রাবাইতারী গ্রামের লিঠন ও সোবহান দুই ভাইকে দেখা যায়, তীব্র শীতে গরুর অভাবে নিজ হাতে মই টেনে জমি প্রস্তুত করছেন। ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে তারা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ বপন করছেন। তবে চলমান ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের চারার সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। নওদাবশ গ্রামের খবির মিয়া জানান, তিনি আট বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের বীজ সংগ্রহ করে বপন করেছেন। সারের দাম কিছুটা বেশি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশাবাদী তারা। রাবাইতারী গ্রামের জাকির হোসেন জানান, ‘আমাদের প্রধান ফসল ধান। তাই সঠিক সময়ে বীজতলা প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর বীজের মান ভালো হওয়ায় আমরা আশাবাদী যে, ভালো ফলন পাবো।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, এ বছর উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ১০ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বীজ ও সারের কোনো সঙ্কট নেই বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement