ডুমুরিয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট, বিপাকে খামারিরা
- মো: আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী ডুমুরিয়া (খুলনা)
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
খড় সঙ্কট, কুড়ো ভূষির মূল্য বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতায় ঘাসের অমিল হওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়ায় গো-খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে খাদ্য সঙ্কটে গাভী বিক্রি করে দিচ্ছে খামারিরা। গবাদিপশু বাঁচিয়ে রাখতে প্রান্তিক খামারিরা কচুরিপানা সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর ভয়াবহ বন্যায় বিলে ঘাস না থাকায় গো-খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। কিছু কিছু এলাকায় খড় পাওয়া গেলেও প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারীদের হাতের নাগালে নেই দাম। বাজারে বিক্রি করা গো-খাদ্যের দামও আকাশচুম্বী। গবাদিপশু বাঁচিয়ে রাখতে বাড়ির পাশের খাল, বিল ও ডোবায় জন্মানো কচুরিপানাই এখন তাদের শেষ ভরসা। কেউ কেউ রিকশাভ্যান ভাড়া করে, কেউবা পায়ে হেঁটেই দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করছেন কচুরিপানা।
উপজেলার দেড়ুলি গ্রামের তপন কুমার ঘোষ বলেন; এবার বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় মানুষের খাদ্যেরই অভাব দেখা দিয়েছে। খালে বিলে এ কচুরিপানা না থাকলে গরুগুলো বাঁচিয়ে রাখাই কষ্ট হয়ে যেত।
বিছেলী ব্যবসায়ী বেজেরডাঙ্গা এলাকার ইউনুস গাজী ও ফুলতলা এলাকার বাপ্পী জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ট্রাকে করে আমাদের এলাকায় আসে সেখান থেকে কিনে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি করি। প্রতি আটি খুচরা ৭-৮ টাকা মূল্যে বিক্রি করি।
সাবেক ইউপি মেম্বার আরতি মহাজন বলেন; আমার একটা গাভীর পেছনে দৈনিক ৫০০ টাকা খরচ হয়। ৩৫ কেজি ওজনের একবস্তা ভূষির দাম এক হাজার ৫০০ টাকা। কিভাবে গাভী পালবো (!)এলাকার ৭৫ ভাগ গাভী খাদ্য সঙ্কটে বিক্রি করে দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আশরাফুল কবীর বলেন, বর্তমান সময়ে গো-খাদ্য সঙ্কটের প্রধান কারণ হচ্ছে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা। আউশ ধান না হওয়ায় গাভী পালনকারীরা খড় সংগ্রহ করতে পারেননি। বরাদ্ধ না থাকায় সরকারিভাবে কোনো খামারিকে গো-খাদ্যও দেয়া সম্ভব হয়নি।
খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত কৃষি উপ-পরিচালক মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টিতে এবার বিল ও ঘেরের পাড়ে ঘাস জন্মাতে পারেনি। অন্যদিকে ভূষি খড় ও বিছেলির দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে গো-খামারিরা। গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানা ব্যবহৃত হওয়ায় কিছুটা হলেও চাহিদা মিটছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা