১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মহাসড়কের পাশে সবজি চাষে সফল কামাল

মহাসড়কের পাশে সবজি চাষে সফল কামাল -

‘সবজি ও ফলের চাষ, অর্থ-পুষ্টি বারোমাস’ সরকারের এই ইনোভেশন আইডিয়া বাস্তবায়নে ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশের অব্যবহৃত জমিতে সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন স্থানীয় চাষি কামাল হোসেন। রাস্তার পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার বরাবর সবজি চাষ করে তিনি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
মহাসড়কের দুই পাশের জমি বছরের পর বছর ধরে অব্যবহৃতই পড়ে থাকত। কিন্তু সরকারের ইনোভেশন আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় পতিত কিংবা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জমিতে সবজির চাষ করেন কামাল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনায় পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগে একদিকে বেকার সমস্যার সমাধান হবে, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে সবজির চাহিদাও মিটবে।
সরেজিমন দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চাষ করা হয়েছে নানা জাতের সবজি, যেমন : সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে শিম, লাউ, করলা, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, ধুন্দুল এবং বিভিন্ন জাতের মরিচ। এসব সবজি চাষে তাকে কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়নি। যতটুকু সার বা কিটনাশক প্রয়োগ না করলেই নয়, সেটুকু তিনি পেয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকেই এবং তা বিনামূল্যে।

অবশ্য শুধু কামাল হোসেনই নয়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কের পাশে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের পতিত জমিতে, মহাসড়ক কিংবা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা পতিত জমিতে বিনামূল্যে সার, বিষ, বীজ নিয়ে সবজি চাষ করেছেন অনেকেই। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে জানায় কৃষি অফিস।
গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউজ্জামান শাহিন বলেন, রাস্তার পাশে সবজি চাষ করে কামাল হোসেন বেশ ভালো করেছেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের পুরো পতিত জমি যদি সবজি চাষের আওতায় আনা যায় তাহলে ধামরাইবাসীর সবজির চাহিদা তো মিটবেই, রাজধানীসহ অন্যত্রও সরবরাহ করা যাবে।
ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা সবজি চাষে আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। আগামী মৌসুমে পুরো উপজেলার মহাসড়কের পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষের ব্যবস্থা করা হবে। কামাল হোসেনকে দেখে অনেকেই আমাদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement