পিঠা বিক্রি করেই সংসার চলে জোসনা বেগমের
- মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কনকনে শীতের সকাল। কুয়াশার চাদরে আবৃত পুরো দেশ। ঠিক এ সময়ই প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে সূর্য উদয়ের পূর্বেই পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন জোসনা। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন পিঠা বানিয়ে বিক্রি করা। স্কুলে অধ্যয়নরত ছোট ছোট ছেলে মেয়েসহ অভিভাবকরাও প্রতিদিন সকাল সকাল তার দোকান থেকে পিঠা কিনতে ভিড় করে থাকে। স্কুল খোলার দিনেই শুধু পিঠা বিক্রি করেন এই নারী।
জোসনা বেগমের বাড়ি উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর সড়কে প্রভাতী কিন্ডারগার্টেনের সামনেই তার পিঠার দোকান। তার স্বামী অলি উল্লাহ নিজেও প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির পাশে মির্জাপুর বাজারে পিঠা বিক্রি করেন। দুজনের পিঠা বিক্রির আয়েই চলে তাদের সংসার।
জানা যায়, দরিদ্র জোসনা নিজের বাবার বসত ভিটায় একটি ঘর বানিয়ে বসবাস করেন। তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বছর খানেক আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে পিঠা বিক্রি করছেন। শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। বাকি সময় তারা লাকড়ির ব্যবসা করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের সামনে বসেই তিনি পিঠা তৈরি এবং বিক্রি করছেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় লোকজনসহ পিঠা কিনতে ভিড় করছেন তার দোকানে। তার দোকানে ছোট সাইজের একটি চিতই পিঠা পাঁচ টাকা, বড় সাইজ ১০ টাকা, ডিম চিতই ২০ টাকা এবং গুড় ও নারিকেলের তৈরি ভাপা পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। প্রভাতী কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক খুরশিদ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের সামনে জোসনা বেগমের পিঠার দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, এতে তার জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও শীতের দিন গরম গরম পিঠা খাওয়ার স্বাদ পাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা