২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কালিয়াকৈরে হঠাৎ বেড়েছে ডাকাতি ও ছিনতাই

প্রতি রাতেই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে
-

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় হঠাৎ বেড়েছে ডাকাতি ও ছিনতাই। প্রায় প্রতি রাতেই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটে নিচ্ছে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল। এক সপ্তাহে একটি বিকাশের দোকান ছাড়াও দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় উপজেলা ও পৌরসভার নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ আটক করতে পারছে না, উদ্ধার হচ্ছে না লুন্ঠিত মালামাল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নাবির বহর এলাকায় এক প্রবাসী নূরু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা রাত ২টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকে। পরে মেইন গেটের তালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে। পরে বাড়িতে থাকা ১৫ ভরি স্বর্ণের গয়না, নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, একটি আই ফোনসহ দু’টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চান্দরা এলাকায় একই রাতে একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত সদস্যরা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি আটক করে। এ সময় পুলিশ তিনজন ডাকাত গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজিব মণ্ডল (২৫) আব্দুল আলীম (২০), ফারুক হোসেন (২২)। তবে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে কালিয়াকৈর পৌরসভার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার একজন ব্যবসায়ীর বাড়ির দোতলার জানালার গ্রিল কেটে একদল ডাকাত বাড়ির ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাতদের হামলায় দুইজন আহত হন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির মালিক দেওয়ান মঞ্জুরুল করিম সোহাগসহ বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ি থেকে নগদ ৩২ লাখ টাকা,২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে সফিপুর বাজারে গত ২ ডিসেম্বর রাতে সাইফুল ইসলাম (৪৩) নামে এক বিকাশ ব্যবসায়ীকে একদল ছিনতাইকারী কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা সাইফুলের কাছে রাখা ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাইফুলের স্বজনরা উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। আক্রান্ত বিকাশ ব্যবসায়ী উপজেলার সফিপুর রঙ্গার টেক এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম।
তবে এসব ঘটনায় একটি মামলাও হয়নি এবং কোনো মালামাল উদ্ধার হয়নি। কেউ আটকও হয়নি বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম এসব চুরির ঘটনা বলে মন্তব্য করে বলেন, চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাকাতি ও ছিনতাই থামাতে সড়ক মহাসড়কে রাতে পুলিশের পাহারা বসানোর চিন্তা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement