বগুড়ার শেরপুরে সড়ক নির্মাণে ধীর গতি, ধুলোয় দুর্ভোগ
- আকরাম হোসাইন শেরপুর (বগুড়া)
- ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ার শেরপুরে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ এগিয়ে চলেছে কচ্ছপ গতিতে। প্রায় তিন বছর ধরে কাজ চললেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার ফলে ধুলার আধিক্যে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের কলেজ রোড থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের এই দুরবস্থা প্রতিকারে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।
উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া জাতীয় মহাসড়ক থেকে কুসুম্বি ইউনিয়নের মুরাদপুর পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়নকাজ চলমান। এর দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৩৫০ মিটার, প্রস্থ পাঁচ মিটার। রাজশাহী বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ১২১ টাকা। কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে ঢাকার তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় অবস্থিত ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ থেকে। সমাপ্ত করার কথা ছিল ২০২৩ সালের ৮ জুনে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা মেয়াদ বাড়িয়ে নেন আগামী ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও কাজটি সমাপ্ত হয়েছে ৭০ শতাংশ।
অটোচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের কারনে ধুলাবালির পরিমাণটা খুবই বেশি। এই রাস্তায় অটো চালিয়ে স্বাসকষ্ট ও সর্দিকাশি লেগেই থাকে।
কুসুম্বি গ্রামের কৃষক তোজাম জানান, নিজের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে প্রতিদিনই আমাকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। পণ্য পরিবহনে বেশি টাকা ও ধুলা-বালুর কারণে বড় ভোগান্তি পোহাতে হয় এ রাস্তায়। সারাক্ষণ হাঁচিকাশি লেগেই থাকে।
সড়কটির উন্নয়ন কাজের তদারকি করছেন শেরপুর উপজেলার (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান। তিনি নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন, সড়কটির উন্নয়নের কাজ প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। দীর্ঘ দিন এভাবে পড়ে থাকার কারণে খোয়া দেখে নিম্নমানের বলে মনে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে দেবো।
কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ শাহ আলম বলেন, তার ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার কৃৃষক এই সড়কের ওপর দিয়ে কৃষিপণ্য নিয়ে শেরপুরে যাতায়াত করেন। এই ভাঙা সড়কের ওপর দিয়ে মালামাল বহন করতে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মজিদ বলেন, আমি এখানে আসার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করার জন্য বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান এতদিনেও কাজটি সমাপ্ত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা