২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফের বিনামূল্যে পেঁয়াজবীজ পাচ্ছেন রাজবাড়ীর ৪ হাজার কৃষক

আগে বিতরণ করা প্রণোদনার বীজের অংকুরোদগম হয়নি
-

চলতি রবি মৌসুমে রাজবাড়ীতে বিতরণ করা প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজের অংকুরোদগম (গজানো) সন্তোষজনক না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন হাজার ৭২৫ চাষিকে আবারো বিনামূল্যে উন্নতমানের পেঁয়াজবীজ দেয়া হচ্ছে। গতকাল রোববার উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত চাষির মাঝে বীজ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় এ কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজবাড়ী সদরে আরো ৬০০ জনসহ পাংশায় ৮৭৫, কালুখালী ৭০০, বান্দতে এক হাজার ও গোয়ালন্দে ৩৫০ চাষির মাঝে এ পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপণ করতে পারলে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। এ বিষয়ে কৃষকদের পাশে াকবে জেলা প্রশাসন।
রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যে নভেম্বর মাসের প্রম সপ্তাহে চার হাজার কৃষককে বিনামূল্যে (বা-১, বা-৪ ও তাহেরপু) এই তিন জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এই বীজের জন্য খরচ হয় এক কোটি ৮ লাখ টাকা। যার মধ্যে রাজবাড়ী জেলা সদরে ৮০০, গোয়ালন্দে ৪০০, পাংশায় ১০০০, বালিয়াকান্দিতে ১০০০ ও কালুখালী উপজেলায় ৮০০ জনসহ মোট চার হাজার জন এ বীজ পায়। বীজ বপণের পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও দুটি (বা-৪ ও তাহেরপু) জাত না গজানোয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ৭২৫ কৃষকের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তদন্ত কমিটি সত্যতা পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে আবারো লাল তীর জাতের পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
এ বছর রাজবাড়ী জেলায় প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিি ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাদুল ইসলাম মিঞা। বিশেষ অতিরি বক্তব্য দেন, রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো: শহিদুল ইসলাম। এ দিকে আবারো বীজ পাওয়া কৃষকদের দাবি, নতুন করে বীজতলা তৈরিতে তাদের আবারো খরচ হবে এবং আবাদও পিছিয়ে যাবে। তবে জমি পতিত ফেলে না রেখে আবারো বীজতলা তৈরি করে আবাদ করবেন বলে জানান তারা।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আবারো আগামী এক/দুই দিনের মধ্যে বীজ পেয়ে যাবেন। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কৃষকরা বীজ বপণ করতে পারলে সঠিক সময়ে হালি চারা লাগাতে পারবে। ১০-১২ দিন আবাদ পেছালেও লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পূরণ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement