গোল্ডেন ধান চাষে সফল ডা: শফিকুল ইসলাম
- আলকামা সিকদার মধুপুর (টাঙ্গাইল)
- ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একই জমিতে তিন ফসল, এখন কৃষকের কাছে বাস্তবতা। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রতি বছর কৃষকরা এক জমিতে তিন ফসল আবাদ করছেন। উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের কুড়িবাড়ি গ্রামের কৃষক ডাক্তার শফিকুল ইসলাম এবার তার একই জমিতে তিন ফসলি হিসেবে আমন মৌসুমে আবাদ করছেন উন্নত মানের গোল্ডেন জাতের ধান। তিনি এ মৌসুমে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে এ গোল্ডেন জাতের ধান আবাদ করে দারুণভাবে সফল হয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক। ছুটিতে গ্রামে ফিরে তিনি কৃষি কাজে নেমে পড়েন।
তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে এ জাতের ধান প্রায় ৩০ মণ উৎপাদন হয়। অন্যান্য ধানের চেয়ে এ ধান আবাদে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক খরচ কম লাগে। এ ধান কাটার পর সময়মতো সরিষার আবাদও করা যায়। তাই সুবিধাজনকভাবেই এক জমিতে তিন ফসল আবাদ এখন অনেকটা সহজ হয়েছে।
ডাক্তার শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে নাইম ইসলাম জানান, তার মামা একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও কৃষিতে তার ব্যাপক আগ্রহ। তিনি জমিতে আবাদের জন্য নতুন নতুন জাত এনে থাকেন। এবার তিনি উন্নত মানের গোল্ডেন জাতের ধান আবাদ করেছেন। একই জমিতে আমার দেখা মতো তিন ফসল আবাদ করছেন। আর এ তিন ফসল আবাদে তিনি সফলও হয়েছেন। তার এ আবাদ দেখে এখন এলাকার অনেকেই তিন ফসল আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা দেখছি ডাক্তার শফিকুল ইসলাম তার জমিতে নতুন এ ধান আবাদ করেছেন। অনেক ফলনও পেয়েছেন। দেখতেও সুন্দর। তার চেয়ে বড় সুবিধা হলো এই ধান বোরো, আউশ ও আমন তিন মৌসুমে একইভাবে আবাদ হয়। তাই এ ধান আবাদে আমরাও আগ্রহী।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, মধুপুরে ডাক্তার শফিকুল ইসলামই প্রথম গোল্ডেন জাতের এ ধান আবাদ করেছেন। আমরা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও রোগবালাই দমনের জন্য পরামর্শ প্রদান করে আসছি। আমার দেখা মতে এ ধানে ফলন অনেক ভালো। তাই আগামীতে গোল্ডেন জাতের ধান কৃষকের মধ্যে সম্প্রসারণ করতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক লাভবান হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা