২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

রেডিওগ্রাফার নেই, এক্স-রে সুবিধাবঞ্চিত রোগীরা

-

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহুল কাক্সিক্ষত এক্স-রে বিভাগ চালু হওয়ার তিন মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে। গত এক বছর ধরে এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত দ্বীপের সাধারণ রোগীরা। গত বছর জুন মাসে পরীক্ষামূলক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে রোগীদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বৈদ্যুতিক ঝুঁকিতে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পরিচালনা দুরূহ ব্যাপার। সাড়ে ৩০০ টাকার একটা এক্স-রে করাতে বাইরে গিয়ে খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। উপজেলায় একাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও এক্স-রে সুবিধা না থাকায় রোগীদের ভোগান্তির সীমা কম নয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ রোগী আসছে বহির্বিভাগে। ল্যাবরেটরিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেয়ায় পরীক্ষার রোগীও বেড়েছে কয়েকগুণ।
সরেজমিন গিয়ে হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ল্যাবরেটরি কক্ষের সামনে লম্বা লাইন। পরীক্ষা করাতে আসা রোগী সেনুয়ারা বলেন, ডাক্তার দেখাইছি, পরীক্ষা দিছে। তবে সিরিয়াল পেতে সময় লাগলেও কম খরচে পরীক্ষা করার সুযোগ পাচ্ছি- এটাই সুবিধা আমাদের।
গত বছরের জুন মাসে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে একমাত্র সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বাড়ানো হয়। সরকারিভাবে রেডিওগ্রাফার দেয়া না হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে একজন এক্স-রে টেকনিশিয়ান দিয়ে সেবাটি চালু করেছিলেন। তবে নানা প্রতিকূলতার কারণে তিন মাস পরেই টেকনিশিয়ান চলে যাওয়ায় এক্স-রে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সামান্য আঙুলের ভাঙা নিয়েও যেতে হয় পেকুয়া কিংবা চকরিয়ায়, যা খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি।
অপর দিকে বেশ কয়েকটি বিভাগে বেসরকারি সংস্থা থেকে দেয়া হাসপাতালে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) দেয়া হলেও গত দু’মাস আগে প্রকল্প বন্ধের কারণে ডাক্তার, টেকনোলজিস্টসহ কর্মচারীদের বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, এক্স-রে বিভাগে রেডিওগ্রাফার না থাকায় সেবাটি এখন বন্ধ। বেশ কয়েকবার লিখেছেন জরুরি ভিত্তিতে একজন রেডিওগ্রাফার দেয়ার জন্য; কিন্তু দেয়া হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement