কালীগঞ্জে টিআর-কাবিটার টাকা লুটপাট
অর্থ ফেরতের নোটিশ- কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুরের কালীগঞ্জে টিআর-কাবিটার প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা ফেরত চেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার (টিআর-কাবিটা) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নেতা ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে অগ্রিম অর্থ বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু তারা প্রাপ্ত অর্থের বিপরীতে নিজ এলাকায় কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়ন করেননি। তাই সমুদয় অর্থ ফেরত চেয়ে নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিআর এর আওতায় ৪৭৫টি প্রকল্পে বরাদ্দ হয় তিন কোটি ২৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪৮ টাকা এবং কাবিটায় ১৫৬টি প্রকল্পের অধিনে বরাদ্দ হয় দুই কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ১৬২ টাকা। মোট বরাদ্ধের পরিমাণ পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার ৬১০ টাকা। তার মধ্যে ২৬টি প্রকল্পের কোনো কাজ বাস্তবায়ন না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলেন, টিআর-কাবিটার সব বরাদ্দই পেয়েছে সরকার দলীয় এমপি’র অনুগ্রহে স্থানীয় নেতা ও তাদের কর্মীরা। টিআর-কাবিটা প্রকল্পকে এমপির নেতৃত্ব বাঁচিয়ে রাখার প্রকল্প নামেই অবহিত করেন তারা। কিন্তু সাবেক দুই এমপির এসব নীতিবহির্ভূত কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান প্রশাসন। তবে, টাকা ফেরতের নোটিশকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানিয়ে বলেন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের টিআর ও কাবিটা খাতের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থের অর্ধেকই ঢুকেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে।
জানা যায়, কোনো প্রকার কাজ না করায় ২৬টি প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প সভাপতিকে নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ফেরত চাওয়া অর্থের পরিমান ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৫০ টাকা। সাবেক ইউএনও এস এম ইমাম রাজী টুলু স্বাক্ষরিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার (টিআর-কাবিটার) প্রকল্পের অব্যয়িত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অধিনে বরাদ্দ পাওয়া ৮১৬ নং স্মারকের বক্তারপুর ইউনিয়নের আটলাব এলাকার খুকি আক্তার বলেন, দুই লাখ টাকার অনুকূলে প্রথম কিস্তি এক লাখ টাকা দিয়ে কাজ করে ফেলেছি। কাজ করার পরে চিঠি পেয়েছি। টাকা ফেরত দেব কিভাবে? আরেক প্রকল্প প্রাপ্তি ৮১২ নং স্মারকের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের শহিদুল্লাহ শহিদ বলেন, কাজ করতে পারিনি, তাই সরকারি টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি তাদেরকেই অর্থ ফেরতের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চারজন অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তনিমা আফ্রাদ বলেন, প্রকল্পের সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার কোনো সুযোগ নেই। যারা সময়মত প্রকল্পের কাজ করেননি তাদেরকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ ফেরত দিতে হবে। সরকারি অর্থ ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা