মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষে ঝুঁকছেন তরুণ কৃষকরা
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
একসময় শুধু পারিবারিক চাহিদা পূরণে বসতবাড়ির আঙ্গিনা বা ঘরের চালে লাউ চাষ করা হতো। এখন লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা, উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগার কারণে বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ শুরু হয়েছে। কৃষিজমিতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগরের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা।
সরেজমিন দামুড়হুদা ও জীবননগরের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকার মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ শুরু করেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা। বাঁশ ও তার দিয়ে পাঁচ ফুট উঁচু করে তৈরি করা হয় মাচা। একবার মাচা তৈরি করলে সেখানে তিন থেকে চার বছর লাউ চাষ করা যায়। লাউ চাষে রাসায়নিক সার ও শ্রমিক খরচ অন্যান্য চাষের তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া চারা লাগানোর দেড় মাসের মধ্যে লাউ ধরা শুরু করে।
দামুড়হুদা হাওলি ইউনিয়নের যুবক লাউচাষি সেকেন্দার আলী জানান, এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড ময়না জাতের লাউ চাষ করেছি। প্রতিদিন তিন কার্টন করে লাউ বিক্রি করি। প্রতিটি কার্টনে ৬০ পিস করে লাউ আমরা ঢাকাতে পাঠাই। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি কার্টনে ১৭ শ’ থেকে ১৮ শ’ টাকা পাওয়া যায়।
অপর এক লাউচাষি বলেন, স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি দেড় বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করেছি। প্রতিদিন সকালে লাউ কার্টনে করে ঢাকাতে পাঠানো হয়। বিকেলে ও ছুটির দিন আমি নিজে এসে লাউগাছ পরিচর্যা করি।
তরুণ লাউচাষি জনসন মিয়া বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে উচ্চ ফলনশীল ডিসকাভার জাতের লাউ চাষ করেছি। লাউ চাষে রাসায়নিক সার ও শ্রমিক খরচ কম। অল্প দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বাজারে লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যাপারিরা জমি থেকে লাউ নিয়ে যায়। অন্যান্য চাষের চেয়ে লাউ চাষে বেশ লাভ হচ্ছে। তরুণ লাউচাষিদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমাদের উপজেলার মাটি লাউ চাষের জন্য উপযুক্ত। তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা লাউ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে লাউচাষিদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা