নিকলীতে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ : চাষাবাদে বাধা
- আলী জামশেদ নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সদরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কান্দায় পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মঞ্জিল হোসেন এ বাধার মুখে পড়েন।
নিরুপায় হয়ে মঞ্জিল হোসেন প্রতিকার চেয়ে থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের দ্বারস্থ হন। সেখানে সব দলিল ও তাদের পক্ষে আদালতের রায়ের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। জমির প্রকৃত মালিকানার সত্যতা পেয়ে সেনাক্যাম্প থেকে পৈতৃক জমি চাষাবাদে প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়। তবে তাতেও ক্ষান্ত হয়নি প্রতিপক্ষ সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৈবত হাটির মৃত মুছন্দালীর ছেলে প্রভাবশালী ছাদির মিয়া ওরফে ছাদির মেম্বার।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মঞ্জিল তার পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে ছাদির মিয়া এসে বাধা দেন। এরপর তিনি রাতে মঞ্জিল মিয়াকে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পাশাপাশি লাঠিয়াল ভাড়া করে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেন।
মঞ্জিল হোসেন জানান, তার দাদা, বাবা এবং মায়ের কাছ থেকে ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত এক একর ৯৬ শতাংশ জমি বিগত ৭০ বছর ধরে একতরফা মালিকানায় ভোগদখল এবং চাষাবাদ করে আসছেন। প্রতিপক্ষ ১৯৬৮ সালে ভূমি জরিপ আমলে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তার আরওআর, বিআরএস এবং দখলের বিরুদ্ধে একটি এওয়াজ দলিল তৈরি করে ৩০ ধারায় মামলা করেন। তবে যথার্থতা না পেয়ে শুনানি শেষে আদালত ১৯৮৮ সালে মামলাটি খারিজ করে দেয়।
নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক দিন আগেও এ বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি দরবার হয়েছিল। দরবারে মঞ্জিলের কাগজপত্র হাজির করলেও সাদির মেম্বারের কাগজপত্রে অনেক ঘাটতি ছিল।
নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দীন বলেন, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও তারা জমির বিষয়টি নিয়ে বসে ছিলেন। জায়গা জমির বিষয়। তাই উভয়পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।