ডুমুরিয়ায় ব্যস্ততম মহাসড়কের ওপর কাঁচামালের আড়ৎ
প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা- মো: আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী ডুমুরিয়া (খুলনা)
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ডুমুরিয়ায় ১৮ মাইল ব্যস্ততম মহাসড়কের ওপর কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে ওঠায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বাসযাত্রী, শিক্ষার্থী, পথচারীসহ জনসাধারণ। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আড়ৎ স্থানান্তরের জন্য জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন বাজার প্রতিষ্ঠাতাসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে ও লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৮ মাইল বাজারসংলগ্ন খুলন-সাতক্ষীরা ও যশোর-সাতক্ষীরা ব্যস্ততম মহাসড়কের দু’পাশে বাজারটি অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে আঠারমাইল, আরশনগর, মাগুরাঘোনা, কাঠালতলা, চাকুন্দিয়া, কুলবাড়িয়াসহ পার্শ্ববর্তী তালা ও কেশবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সকাল ৬টা-১০টা পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি বেচাকেনা হয়। সড়কটি খুলনা সাতক্ষীরা ও বাইপাস পাইকগাছা সড়কের মিলনস্থল হওয়ায় স্থানটির গুরুত্বও অনেক বেশি। আর এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন খুলনা সাতক্ষীরা, খুলনা যশোর ও পাইকগাছার কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাহেন্দ্রা, মটরসাইকেলসহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সকালে কৃষিপণ্য ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পথচারী ও শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার হতে হিমশিম খেতে হয়। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন, আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
কয়েকজন চাকরিজীবী বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে এসে আমরা যানজটের কবলে পড়ি। যে কারণে অনেক সময় আমাদের অফিস টাইমে যেতে দেরি হয়ে যায়।
কাঁচামাল বাজার প্রতিষ্ঠাতা শেখ নুর ইসলাম কোহিনুর বলেন, ব্যস্ততম এ মহাসড়কের দু’পাশে কাঁচামাল বাজারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং বাজার চলার সময় যানজট লেগেই থাকায় জনভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে প্রশাসন আমাদের কয়েক দফা সতর্ক করেছেন। বাজার কমিটির সভাপতি আতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, আমরা কর খাজনা দিয়ে এ আড়তে ব্যবসা করে আসছি। মহাসড়কের ওপর বাজার বসানোর অনুমতি আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে জমির মালিকের সাথে কথা বলতে বললেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো: ফজলুর রহমান বলেন, হাইওয়ের ওপর যানজট নিরসনে আমরা বাজার কমিটিকে বার বার তাগিদ দিয়েছি এবং আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে এবং ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি।