২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে উন্নত জাতের কফি আবাদ

সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে উন্নত জাতের কফি আবাদ -

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ে বিদেশী ‘রোভাস্টা’ জাতের উন্নতমানের কফির আবাদ করে সফল হচ্ছেন বেশ কয়েকজন পাহাড়ি কৃষক ও সংস্থা। কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড, বারৈয়াঢালা, পৌরসভার মহাদেবপুর, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সলিমপুর, ভাটিয়ারী ও সোনাইছড়ি পাহাড়ের ৯ হেক্টর জমিতে বিদেশী রোভাস্টা জাতের কফির চাষ করা হচ্ছে।
পাহাড়ের আলো-আঁধারি জায়গায় কফি উৎপাদন ভালো হয়, এটা ভেবে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে নেয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। পাহাড়ের প্রতিটি বাগানের গাছেই এখন কফির কম বেশি ফলন দেখা দিচ্ছে। গাছে গাছে লাল, বাদামি ও সবুজ রঙের এসব কফি দেখে মন জুড়িয়ে। এ সফলতার মধ্য দিয়ে উপজেলা তথা দেশের কৃষি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, কৃষিতে এ উপজেলার সাফল্য বরাবরই ঈর্ষণীয়। স্থানীয় পাহাড় ও সমতল ভূমির উর্বর মাটিতে সবজি ও ফল আবাদের সুনাম বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই সুনামের তালিকায় নতুন করে যোগ হলো রোভাস্টা কফির সফলতা। বর্তমানে কফি চাষে স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি অনেক গ্রুপ অব কোম্পানিও এগিয়ে আসছে।
কফিগাছ রোপণের দুই বছর পর গাছে ফলন আসতে শুরু করে। বাড়বকুণ্ডে পিএইচপি ফ্যামিলি তাদের প্রায় তিন হেক্টর পাহাড়ি জমিতে রোভাস্টা কফি চাষ করেছে। এ বাগানের পরিচর্যাকারী মো: শহীদ জানান, পাহাড়ে কফি চাষ করা বেশ কঠিন কাজ। প্রথম দিকে একটি ক্ষেত তৈরি করতে প্রচুর ব্যয় হয়। কফি চাষের জন্য প্রয়োজন আলো-আঁধারি পরিবেশ। বেশি রোদে কফি নষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেক বেছে এই তিন হেক্টর জমি নির্ধারণ করেছি। পরীক্ষামূলকভাবে এই জমিতে সহস্রাধিক রোভাস্টা জাতের কফির চারা রোপণ করা হয়েছে। বর্তমানে গাছগুলোতে প্রচুর ফল এসেছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, এ উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গার প্রায় ৯ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে কফির চাষ হয়েছে। কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রথম দিকে কৃষকদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও বর্তমানে ফল উৎপাদনের সফলতা দেখে বেশ আগহী হয়ে উঠছেন তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement