সৈয়দপুরে রেললাইন ঘেঁষে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন
দুর্ঘটনার আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার- মো: জাকির হোসেন সৈয়দপুর (নীলফামারী)
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইন ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচলে বিঘœ হওয়াসহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবুও আরসিসি পিলার দিয়ে প্রকাশ্যে এ কাজ করা হলেও নির্বিকার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শহরের অত্যাধুনিক সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের সামনে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর রুটের রেললাইনসংলগ্ন রেলওয়ের জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে একটি বহুতল দোকানঘর। লাহোর টেইলার্স নামের এই দোকানটি টিনশেড ছিল। সেটি ৩৫ লাখ টাকায় কিনে নিয়ে আরসিসি পিলার দিয়ে দোতলা বিল্ডিং করছে সাজু ইলেকট্রিকের মালিক।
স্থানীয় সূত্র মতে, ইতোমধ্যে এ দোকানটি পাঁচ লাখ টাকা জামানত ও মাসিক ২২ হাজার টাকা ভাড়ায় নিয়েছে নান্না বিরিয়ানি নামে এক ব্যবসায়ী। রেলওয়ের জায়গা ও রেললাইন ঘেঁষে পূর্বের চেয়েও দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ভিত্তি। কিন্তু নির্বিকার সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি, ভূসম্পত্তি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) ও উপসহকারী প্রকৌশলী (আইওডব্লিউ)।
এ ব্যাপারে ভবন নির্মাণকারী সাজু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দোকানটি কিনে নিয়ে যথারীতি রেলওয়ের পাকশি এস্টেট অফিস থেকে নিজ নামে বরাদ্দ লাইসেন্স নিয়ে ভবন নির্মাণ করছি। স্থানীয় রেলওয়ের সবাই জানে। খবর নিয়ে দেখেন রেলওয়ের ওপরের মহলে আমার কে আছে। রেলওয়ের কারো সাহস নাই আমার কাজ আটকাবে। এ ছাড়া আমার এক আত্মীয় পুলিশ সুপার।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের জায়গায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ হলে তা দেখার দায়িত্ব মূলত পাকশী রেলওয়ে এস্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং স্থানীয় এইএন, আইওডব্লিউ বিভাগের। আমাদের করার কিছু নাই।
সৈয়দপুর রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগের পিডব্লিউ অফিসের কর্মকর্তা সুলতান মৃধা বলেন, ট্রেন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, বিশেষ করে সিগন্যাল দেখতে বিঘœ হওয়া অবকাঠামো কোনোভাবেই রাখা হয় না। রেললাইনের দুই পাশের অবৈধ দোকানপাট নিয়মিত অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়। উল্লিখিত ভবন বা দোকান নির্মাণ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (আইওডব্লিউ) শরিফুল ইসলাম বলেন, দোকানটি নির্মাণের খবর পেয়ে নিষেধ করা হয়েছে। ওপর মহলে জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ পেলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রেলওয়ে (পশ্চিম) রাজশাহী অঞ্চলের জিএম মামুনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের সকল কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এবং রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় রেললাইন ঘেঁষে এই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নানা অজুহাতে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ দিকের আউটার সিগন্যাল দেখার ক্ষেত্রে ট্রেন চালকদের সমস্যা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা