নিকলী-বাজিতপুরে নামধারী পশুচিকিৎসকের ছড়াছড়ি
ভুল চিকিৎসা আর অদক্ষ চিকিৎসকদের হাতে ক্ষুদ্র খামারি ও পশুপালনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত- আলি জামশেদ নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১
চিকিৎসাসেবা দেয়ার কর্তৃপক্ষ না থাকলেও অর্থনৈতিক সুবিধা নিতেই চিকিৎসক সেজে দিচ্ছেন সেবা। অদক্ষদের ভুল চিকিৎসায় মারা যায় অনেক গবাদি পশু ও প্রাণী। স্থানীয় একাধিক প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছেন গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে লোকবল সঙ্কটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক সেবা ফ্রিতে চালু এবং কার্যকর বিষয়ে অফিস সূত্র নিশ্চিত করলেও স্থানীয় খামারিদের ভাষ্য, ফ্রিতে চিকিৎসাসেবার মিলেনি কোনোই সুযোগ। বাধ্য হয়ে স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসকদের সহায়তা নিয়ে থাকেন। ফলে অদক্ষ চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় মারা যায় অসংখ্য গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি। এতে ক্ষতির মুখে পড়ে অনেক উদ্যোক্তাসহ ক্ষুদ্র খামারি। ফলে অনেকের স্বপ্ন ধ্বংসের দিকে চলে যায়।
কিশোরগঞ্জের নিকলী বাজিতপুরসহ আশপাশের প্রায় সব হাওর অঞ্চলেই দিন দিন পশু পালনকারীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়ে চলেছে। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে ভুল চিকিৎসা আর অদক্ষ চিকিৎসকদের দ্বারা ক্ষুদ্র খামারি ও পশুপালনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাওর এলাকায়।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে নিকলী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিটামইন ও তার আশপাশের হাওরবেষ্টিত অঞ্চলগুলোতে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই আবাদি অনাবাদি জমিতে প্রাকৃতিক ঘাসের ওপর নির্ভর করে গোশত ও দুগ্ধজাত গবাদি পশু অধিক পরিমাণে লালন-পালনের উৎসাহ উদ্দীপনা প্রকাশ করে থাকে স্থানীয়সহ বাথেনীরা। এলাকার ভেটেরিনারিগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ সময়ে গবাদিপশু লালন-পালনকারীরা ফার্মেসির লোকদের পরামর্শক্রমে ওষুধ কিনে নিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন ও ব্রুণ স্থানান্তর প্রকল্পের অধীনে মাসিক ২ হাজার টাকা প্রদান করা হয় মূলত মাঠকর্মী হিসেবে ডাটা ও তথ্য দিয়ে সহায়তা করার লক্ষ্যে। এ ছাড়াও একাধিক প্রকল্প চালু রয়েছে খামারিদের সহায়তার লক্ষ্যে। পল্লী চিকিৎসকদের অনেকের নেই কোনো ট্রেনিং, দ্বারস্থও হতে চাননি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের।
জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেড় যুগের কাছাকাছি সময়ের মধ্যে অনেকেই ব্রুণ স্থানান্তর প্রকল্পের সুযোগে নিয়মবহির্ভুত চিকিৎসা দিতে শুরু করে দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জের বৃহৎ আঠার বাড়িয়া গরুর হাটে গত বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সিজনের এই মৌসুমে পানি শুকাতেই সবচেয়ে বেশি গরু হাওর অঞ্চলে নিতে শুরু করেছে মোটা তাজাকরণের লক্ষ্যে, কেউবা দুধের উদ্দেশে।
বাজিতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মুন্সী জানান, বাজিতপুর উপজেলা পশু হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জন নেই। এ ছাড়াও ড্রেসারের পদ খালি রয়েছে।
নিকলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: আবু হানিফ বলেন, এখানে ভেটেরিনারি সার্জন নেই, কম্পাউন্ডার নেই, ড্রেসার নেই, ভিএফএ এর সঙ্কটে রয়েছে। এ ছাড়াও কোনো মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক সেবা এখন পর্যন্ত নিকলীতে চালু নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা