লালপুরে বস্তায় আদা চাষে নারীদের বাড়তি আয়
- এহসানুল করিম তুহিন লালপুর (নাটোর)
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০
নাটোরের লালপুরে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষ করে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা মুর্শিদা বেগম (৫৩)। পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করছেন তিনি। উৎপাদন খরচ বাদেও কয়েকগুন লাভ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য চাষিরাও। শুধু মুর্শিদা নয় তার মতো এ উপজেলায় আরো অন্তত ৮৭ জন এবছর বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
সরেজমিনে সন্তোষপুর গ্রামে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনায় সারি সারি বস্তায় আদা রোপণ করা হয়েছে। সবুজের সমারোহে পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে কয়েকটি ড্রাগনের গাছ, পাশে করা হয়েছে কেঁচো কম্পোস্ট সারের স্তুপ।
মুর্শিদা বেগম জানান, বাড়ির আঙিনা ছায়াযুক্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রাথমিকভাবে ৪২৫টি বস্তায় আদার চাষ শুরু করেছেন। নিজের বাড়িতে উৎপাদিত জৈব ব্যবহার করায় তেমন খরচ হয়নি। শুধুমাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইন থেকে বীজ কিনেছিলেন। এ থেকে প্রায় এক লাখ টাকার আদা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরেক আদা চাষি বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য ফসল চাষের খরচের তুলনায় বস্তায় আদা চাষের খরচ অনেক কম। রোগবালাই, প্রাকৃতিক ঝুঁকি ও পরিচর্যা খরচও কম। আমি বাড়ির আঙিনায় ৭৫০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। আশা করছি, যে খরচ হয়েছে তার চেয়ে তিনগুন বেশি লাভ হবে। আগামী বছরে আরো বড় পরিসরে আদা চাষ করবেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর উপজেলায় মইশাল, বারি-২, বারি-৩ ও থাই নামে চারটি জাতের আদার চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০০টি বস্তায় আদার চাষ হয়েছে, যা গত বছরের থেকে ৭০০ বস্তা বেশি। আর আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কেজি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, বাড়ির আঙিনায় বা ফলের বাগান, পরিত্যক্ত জমিতে অনন্ত ১০/১৫টি বস্তায় আদা চাষ করলে পরিবারের আদার চাহিদা পূরণ হবে। এতে আমদানি নির্ভরতা কমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এজন্য আমরা কৃষকদের আদা চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করে আসছি। এ বছর ফলন আশানুরূপ হওয়ায় অনেক কৃষকের মধ্যে বস্তায় আদা চাষের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে আদা চাষ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা