২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আড়াই কোটি টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে

সংস্কারে ধীরগতি, দুর্ভোগে লক্ষাধিক বাসিন্দা
সেতুতে ওঠার জন্য তৈরি করা বাঁশ কাঠের মই : নয়া দিগন্ত -

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর আকার বৃদ্ধি এবং সংস্কার চলছে ধীরগতিতে। উপজেলার ঢুলন্ডি-সিংজুরী আঞ্চলিক পাকা সড়কের পেঁচারকান্দা এলাকায় ২ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুরু হওয়া কাজ ২০২৪ সালের ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি অর্ধেকও হয়নি। এরই মধ্যে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে এ সড়কে প্রতি দিন চলাচলে সিংজুরী, পয়লা ও বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
অন্য দিকে হেঁটে বিকল্প কাঠের মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এ অবস্থায় সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাইংজুরী গ্রামের আল আমিন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি, অবহেলা ও অল্প সংখ্যক লোক দিয়ে কোনো মতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়া অদক্ষ শিশু শ্রমিক দিয়ে করানো হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে পেঁচারকান্দা বাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর ওপর ১০০ দশমিক ১০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার ভাঙনে নদীর উত্তর পাশের সেতুর এপ্রোচ সড়ক নদীতে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ’ প্রকল্পের আওতায় ২৫.৮ মিটার সেতু বৃদ্ধি ও পুরো সেতু সংস্কারের কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিতু ট্রেডার্স জামালপুর।
বালিয়াখোঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই। ৩টি ইউনিয়নের বিশেষ করে কৃষকের কৃষিপণ্য ও উপকরণ পরিবহনে দ্বিগুণ অর্থ অপচয় এবং ১০ কি.মি ঘুরে যেতে হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, কাজের শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র অর্ধেক। অল্প সংক্ষক লোক দিয়ে চলছে কাজ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পিন্টু সাহা মুঠোফোনে জানান, জাতীয় নির্বাচন এবং বর্ষার কারণে কাজ শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবার কথা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি ঘিওরে নতুন জয়েন করেছি। বর্তমানে সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement