উল্লাপাড়ায় যত্রতত্র পুকুর খনন জলাবদ্ধ শত শত বিঘা জমি
- মো: জাকিরুল হাসান উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কয়েক শ’ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষিনির্ভর ও জীবিকা নির্বাহের প্রধান কৃষিজমি জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করলেও এ সমস্যা সমাধানে কর্ণপাত করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফসলি জমি অনাবাদী হওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে কৃষকদের।
জানা গেছে, চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উপজেলায় অধিক পরিমানে ধান গম ভুট্টা চাষ হয়। এ উপজেলার কৃষিপণ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় খাদ্যের জোগান দিয়ে থাকে। উল্লাপাড়ার কৃষি জমির বৃহৎ একটি অংশ জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে যত্রতত্র পুকুর খননকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। স্থানীয়রা দাবি করছেন, এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে নিয়ম অমান্য করে পুকুর খনন করেছে। তারা বলছেন, উপজেলার সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে রামকৃষ্ণপুর ও বাঙ্গালা ইউনিয়নে। এইসব পুকুর খননের সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল। তারা সবাইকে ম্যানেজ করে দেদারছে পুকুর খনন করেছে। যার ফলে শত শত বিঘা জমি জলাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আগরপুর ক্ষুদ্রসিমলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের অসংখ্য কৃষকের জমি অনাবাদি হয়ে আছে। চাষাবাদ করতে না পারায় অনেকেই পরিবার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। কৃষকরা বলছেন, শুধু আগরপুর ক্ষুদ্রসিমলা গ্রামেই তিনশ বিঘার বেশি জমি জলাবদ্ধ।
পুকুর খেকোরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে, তারা পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখে পার দিতেও দ্বিধা করেনি। আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিএডিসি অফিসে জলাবদ্ধতা নিরসনে অভিযোগ দায়ের করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার রিমা বলেন, পুকুর খননের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জলাবদ্ধতার অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা