মিরসরাইয়ে ৩০ বছর ধরে অনাবাদি শত একর জমি
জলাবদ্ধতা ও সেচ সঙ্কট- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ তিন দশক ধরে আবাদের অনুপযোগী হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ১০০ একরেরও বেশি কৃষিজমি। জমিতে ফসল আবাদ করতে না পেরে হাহাকার করছে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন ও পৌর সদরের দুই শতাধিক কৃষক। অন্যদিকে, বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি নিষ্কাশনের পথ সঙ্কোচিত হওয়ায় নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিতগ্রস্থ হয় আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। জমি রক্ষায় পানি নিষ্কাশনের সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ চান স্থানীয়রা।
কৃষকদের দাবি, অতি দ্রুত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ মহামায়া লেকের পানি ড্রেনের মাধ্যমে কৃষি জমিতে আনা বা সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা গেলে পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আসতে পারে পরিত্যক্ত এসব কৃষিজমি। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী কৃষকদের সমস্যা সমাধানে মিরসরাই ওয়্যারলেস এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপলাইন স্থাপন করলেও তা পানির স্রোতের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
স্থানীয় মুকছুদ, ইমাম হোসেন, অসীম দে ও উজ্জল নাথসহ একাধিক কৃষক জানান, পানির যথাযথ সরবরাহ ব্যবস্থা করা গেলে পরিত্যক্ত জমিতে সমন্বিত বোরো ধান, সবজি, মৎস্য চাষ ও ফলজ বাগান করা সম্ভব হতো। জমিগুলোও আবাদের আওতাভুক্ত হবে। মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য চলতি মৌসুম থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিনীত অনুরোধ করছেন তারা।
মো: হারুন, নুর নবীসহ একাধিক বাসিন্দা ও কৃষক বলেন, মিরসরাই আবাসন প্রকল্প, জাফরাবাদ বিল ও মাছুম্মা বিলে সমন্বিত চাষাবাদ কারার লক্ষ্যে সুফিয়া রোডস্থ গুলিস্থান পেট্রোল পাম্পের উত্তরে অবস্থিত এমএইচবিআই ব্রিকফিল্ডের মধ্যদিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে মহামায়া বারোমাসি ছড়া থেকে পানির ব্যবস্থা করা গেলে পরিত্যক্ত জমিগুলো প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করা হয়। এসব জমি চাষাবাদ করা গেলে দেশের খাদ্য ও আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, কৃষকদের দেয়া একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। অনাবাদী জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা