নাব্যতা সঙ্কটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার ৫ ঘাট বন্ধ, ফেরি চলাচল ব্যাহত
- এম মনিরুজ্জামান রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে ডুবোচর ও চরম নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে এই রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে পাঁচটি ঘাট। ফেরিগুলোকে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় বেশি লাগছে।
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া কার্যালয়ের খনন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাছান আহমেদ বলেন, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া নৌপথের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে ১০০ মিটার প্রশস্ত করে নৌবাহিনীর দু’টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং চলছে। এই নৌরুটে ফেরি চলাচলের জন্য সাধারণত ১২ ফুট গভীরতা পানি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে পানির গভীরতা কম থাকায় ড্রেজিং করে নাব্যতা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সাত নম্বর ঘাটের কাছে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় এক মাস ধরে বড় ফেরি ভিড়তে পারছে না। নাব্যতা দূর করতে জরুরি কাজের অংশ হিসেবে চলছে ড্রেজিং। অধিকাংশ সময় ঘাটের একাধিক পকেট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, দৌলতদিয়ার সাতটি ঘাটের মধ্যে নদী ভাঙনে গত চার বছর ধরে এক দুই ও পাঁচ নম্বর ঘাট বন্ধ রয়েছে। তিন চার ছয় ও সাত নম্বর ঘাট চালু থাকলেও নাব্যতা সঙ্কটে বছরের অধিকাংশ সময় ছয় নম্বর ঘাট বন্ধ থাকে। তিন চার ও সাত নম্বর ঘাট সচল থাকলেও পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি কমায় গত এক মাস ধরে সাত নম্বর রো রো (বড়) ফেরি ঘাটের কাছে পানি কমে যাওয়ায় ড্রেজিং শুরু হয়। ফলে তিন ও চার নং ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তা-ও নদীতে খনন কাজের জন্য দিনের বেলায় প্রায়ই ঘাট বন্ধ থাকছে।
জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল পরিবহনের জন্য হিজলা-উলানিয়া হতে মাওয়া পর্যন্ত ১৩২ কিলোমিটার নদীপথ খননে ৪২ লাখ ঘনমিটার মাটি অপসারণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জরুরি ভিত্তিতে দৌলতদিয়া এবং ধাওয়া পাড়া এলাকায় ২২ অক্টোবর থেকে শুরু করে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মিটার মাটি অপসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিইডব্লিউ) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি খননকাজ করছে।
রোববার দৌলতদিয়ার স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে ভাঙনের কারণে ঘাট বন্ধ থাকে। কয়েক বছর ধরে তিনটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কুয়াশায় ফেরি বন্ধের পাশাপাশি নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি বন্ধের উপক্রম হয়। সারা বছরই ভোগান্তি নিয়ে এই রুট দিয়ে যাত্রীদের পারাপার হতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহ উদ্দিন জানান, নাব্যতা সঙ্কট ও ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে খননকাজ চলমান রয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই নাব্যতা সঙ্কট দূর হয়ে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা