দশমিনায় এ যেন সড়ক নয় মরণফাঁদ
- সঞ্জয় ব্যানার্জী দশমিনা (পটুয়াখালী)
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের দিগন্ত সড়কটি ভেঙে ও খানাখন্দে ভরে গিয়ে এমন অবস্থায় পরিণত হয়েছে যে, এটি যেন এখন আর সড়ক নেই, মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী এ সড়কে ধানের বীজ রোপণ করে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ করেছে। তবুও সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে রাস্তাটি মাত্র দেড় কিলোমিটার। ১৯৯৮ সালে সড়কটিতে ইট বিছানো হয়। এর পর গত ৭-৮ বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে পাকা করা হয়। বিগত ৩-৪ বছর ধরে রাস্তটির বিভিন্ন স্থানে নালা, খানাখন্দে ভরে গিয়ে পথচারী কিংবা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা ও স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এ সড়ক পথেই যাতায়াত করে থাকে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সাড়ে চার লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নামফলক উন্মোচন করা হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো আলামত নেই। জেলা পরিষদের এডিপি কর্তৃক বরাদ্দের সেই টাকা কোনো কাজে ব্যয় হয়েছে তারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।
বর্তমানে রাস্তাটিতে কোনো ইট অবশিষ্ট নেই। বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান কাঁদা হয়ে যাওয়ায় এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন ধানের বীজ রোপণ করে রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবি জানায়। এতেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা