২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নীলফামারিতে আগাম আলু সংগ্রহের ধুম

-

নীলফামারীতে আগাম জাতের আলু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর আগাম আলুর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় বেজায় খুশি আলু চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র মতে, চলতি বছর নীলফামারী জেলায় ২১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। আগাম আলু চাষের জন্য বিখ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলা। দেশের আগাম আলুর সিংহভাগ উৎপাদন হয় এখানে। আগাম আমন ধান কর্তনের পর এখানকার কৃষকরা এক খণ্ড জমিও পতিত রাখেন না। মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত রুমানা, সেভেন ও কারেজ জাতের আগাম আলু চাষ করেছে এখানকার কৃষকরা।
মাঠে এখন আগাম আলু তোলার ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। শুরুতেই দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ৯০ টাকা কেজি দরে কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের আলু চাষি আসাদুল বলেন, এবার ২২ শতক জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। পেয়েছি ৪০০ কেজি। যা ৯০ টাকা কেজি দরে ফসলের মাঠেই বিক্রি হয়েছে। আগাম আলু আবাদে ১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এই আলু বেচে পেয়েছি ৩৬ হাজার টাকা। এতে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পোড়াকোট গ্রামের আগাম আলু চাষি লুৎফর রহমান বলেন, আগাম আলু বিক্রিতে ঝামেলা নেই। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে এসে নগদ টাকায় আলু নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী রোস্তম আলী জানান, প্রথম দিকে ৯০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন আলুর প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হচ্ছে। আগাম আলু ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার আগেই নীলফামারীতে আগাম আলু উঠে থাকে। এ বছর বাজারে আগাম আলুর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement