২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পার্বতীপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিনি চিড়িয়াখানা

পার্বতীপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিনি চিড়িয়াখানা -

মরুভূমির প্রাণী দুম্বা ও বিদেশী ছাগল নিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দুই বছর আগে আবু তাহের মিঞা অ্যাগ্রো ফার্মের যাত্রা হয়। বর্তমানে এখন এটি দিনাজপুর মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর এটি দেখতে গ্রামীণ নির্মল পরিবেশে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ পার্বতীপুর উপজেলার পল্লীতে পারিবারিকভাবে গড়ে উঠা দিনাজপুর মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্কে ভিড় করছে। এখানে রয়েছে দুম্বা, চিত্রা হরিণ, ইমু পাখি, ময়ূর, তিন পা ওয়ালা শাহীওয়াল গরু, জার্মান স্পিস কুকুর, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, ককটেল পাখি, বিদেশী কুকুর, ব্রাহমা মোরগসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি। এ চিড়িয়াখানা ও পার্কটি অল্পদিনেই সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
দিনাজপুর মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক সিসি ক্যামেরা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে মেঠোপথ ধরে প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে অবসর সময় কাটাতে এখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থী। শিশুদের জন্য চরকি, দোলনাসহ আরো অনেক কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। চিড়িয়াখানার ভেতরেই রয়েছে পিকনিক স্পটও। দিনাজপুর থেকে ৩৩ কিলোমিটার, পার্বতীপুর থেকে ১৫ কিমি ও ফুলবাড়ি থেকে ২০ কিমি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের শুরুর দিকে প্রায় দুই একর জায়গা নিয়ে শখের বশে এই চিড়িয়াখানাটি গড়ে তুলেছেন পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের উত্তর মরনাই তাহেরপাড়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মো: রইচউদ্দিন মিঞা (বাবলু)। দর্শনার্থী ভবানীপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শাফিকা জান্নাত বলেন, গ্রামীণ এলাকায় চিড়িয়াখানা হয়েছে জানতে পেরে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছি। পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখেছি এবং বেশ আনন্দও উপভোগ করছি। চতর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানহা মুনতাসির জানায়, কচ্ছপ, চিত্রা হরিণ, দুম্বা আর ময়ূর সে বইয়ে ছবি দেখেছে। এখানে এসে চোখ দিয়ে দেখে খুব ভালো লাগছে।
চিড়িয়াখানা ও পার্কের কেয়ারটেকার আক্তারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমিসহ ৬-৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। মানুষের কাছে আকর্ষণ বাড়াতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
দিনাজপুর মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার মো: রইচউদ্দিন মিঞা (বাবলু) জানান, তুর্কি দুম্বা ও বিদেশী ছাগলের খামার থেকে মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। শখের বসে শেষ পর্যন্ত মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক তৈরি করেছি। সম্প্রতি বন বিভাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন। ভবিষ্যতে উটপাখি, গাধাসহ নানা ধরনের পশুপাখি বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহের ইচ্ছা রয়েছে আমার।

 


আরো সংবাদ



premium cement