ফ্যাসিস্টরা সম্পদের পাহাড় গড়ে এখন ভোগ করতে পারছে না
- বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
‘একজন মা তার সন্তানকে পিট চাপড়ে সাহস জুগিয়েছেন জেলখানায় যেতে। বাংলাদেশকে চিনতে হলে আগে আমাদের মাকে চিনতে হবে। আন্দোলনে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তানটি শহীদ হয়েছেন। কি বলে আমরা তাদের সান্ত্বনা দেবো? আমরা নিজেরাই যেন একেকটি শহীদ পরিবারের সন্তান। নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে দেখুন, আন্দোলনে যারা চোখ হারিয়েছেন তাদের অবস্থা কি! যারা পা হারিয়েছেন, তারা কিভাবে বাকিটা জীবন পার করবেন?’ গত বৃহস্পতিবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গত জুলাই-আগস্টে আহত ও শহীদদের স্মরণসভায় যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম কথাগুলো বলেন।
পতিত সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, অতীতের ভুল এই জাতি ক্ষমা করেছে। দ্বিতীয়বার আর ক্ষমা করবে না। অপচয়, অপকর্ম ও দুর্নীতি না করলে বাংলাদেশে যে সম্পদ আছে তা যদি মাত্র পাঁচটি বছর সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, পরে আর কাজের ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা পাহাড়সম দুর্নীতি করে সম্পদ বানিয়েছেন, তারা এখন ভোগ করতে পারছেন না। যারা আলীশান বাড়ি করেছেন তারা এখন কোথায় ঘুমাচ্ছেন- একবার ভেবে দেখুন। কোনো স্বৈরশাসক পালিয়ে গিয়ে ফিরে এসেছে, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। এ দেশের ছাত্র-জনতা সে ইতিহাস সৃষ্টি করতে দেবে না।
পরিবর্তনের কথা বলে যারা লাফাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজাহারুল ইসলাম বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে একটি টাকাও পাচার হয়নি। এটাও একটি বড় পরিবর্তন। আমাদের ধৈর্যহারা হলে চলবে না।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন সরকার। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারি, থানার ওসি আব্দুল আলীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য টিএস আইয়ুব হোসেন, জামায়াতের উপজেলা আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি হেলাল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে জেলা প্রশাসক ছাতিয়ানতলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড ইউনাইটেড কলেজে কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও চেক বিতরণ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা