বিধবা ভাতার টাকায় চলে না মা-মেয়ের সংসার
- জাকারিয়া শেখ ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বয়সের ভারে ন্যুব্জ, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, শরীরের গঠন জীর্ণশীর্ণ, কাছ থেকে দেখলেই বুঝা যায় রোগে-শোকে অনেকটাই ক্লান্ত ৮০ বছর বয়সী হতদরিদ্র বিধবা সুখজাদী বেওয়া। হতদরিদ্র এই বিধবা ভাতাভোগী মা-মেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিধবা ভাতার টাকায় চলে না তাদের সংসার।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী গ্রামের বিধবা ভাতা ভোগী সুখজাদী বেওয়াকে। সুখজাদী বেওয়ার পাঁচ বছর আগে মারা যান স্বামী হ্যাসপেসু মিয়া। স্বামীর রেখে যাওয়া চার শতক জমির ভিটামাটিটুকুও বারোমাসিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ায় একই গ্রামের শাহালম মিয়ার বাড়িসংলগ্ন একটি টিনের চালায় মেয়ে মরিয়মসহ বসবাস করেন। বৃদ্ধা সুখজাদী বেওয়াকে কেউ কাজ দিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি, কিন্তু পায়ে গোদরোগ নিয়ে চলাচল করতে না পাড়ায় ভিক্ষাও জোটেনা তার।
সুখজাদী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, জীবন দুইটা বাঁচার তাগিদে এই বৃদ্ধা বয়সেও পায়ে গোদরোগ নিয়ে ভিক্ষা করা লাহে বাহে। দিনে এক থেকে দেড় সের চাউলও পাই না, তা দিয়ে আদা পাগলী মেয়েটা নিয়া কোনো রকমেই দু’মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।
নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, কোনো প্রকল্প এলে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া পরিবারটিকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি একান্তই সরকার ও সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা