গুলিবিদ্ধ সাগরের বাবাকে অটোরিকশা প্রদান
- মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত সাগরের বাবাকে একটি নতুন অটোরিকশা প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। আহত সাগর (২৫) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের রিকশা চালক আলতাফ হোসেনের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম আহত সাগরের বাবার হাতে অটোরিকশার চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত এখানে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি সিয়াম হোসেন ও গোলাম রব্বানী।
আহত সাগর জানান, ৫ আগস্ট সকালে ঢাকার মিরপুরের সিঙ্গাপুর আবাসিক হোটেলের সামনের সড়কে খাবারের জন্য বের হন সাগর। পরে তিনি ছাত্র-জনতার মিছিলে যুক্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি মিছিলের সামনের কাতারে চলে আসেন। মিছিলটি মিরপুর-২ মডেল থানার সামনে এলে থানার ছাদ থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে দুটি গুলি এসে লাগে সাগরের বুকের বাম পাশে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আন্দোলনরত ছাত্র জনতা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইবনেসিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে এক মাস তিন দিন পর তিনি বাড়ি ফেরেন। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সাগরদের বসতঘরের জায়গা ছাড়া কোন চাষাবাদের জমি নেই।
সাগরের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট সাগর গুলিবিদ্ধ হলে হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয়। আমি উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে আমার রিকশাটি বিক্রি করে আমার ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাতে থাকি। রিকশাটি বিক্রি করায় আমার আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে যায়। সাগর ঢাকায় একটি আবাসিক হোটেলে সামান্য বেতনে চাকরি করতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে সাগরের চিকিৎসা ও আর্থিক বিষয়টি জানতে পারে উপজেলা প্রশাসন। এরপর আমরা উদ্যোগ নিই সাগরের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় সাগরের পরিবারের জন্য একটি উন্নতমানের অটোরিকশা কিনে দেয়া হলো। দেশের জন্য সাগরের এমন ত্যাগের তুলনায় এ উপহার নিতান্তই সামান্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা