১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সুপারির ভালো ফলন ও দামে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠছেন কৃষকরা

-

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগরে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনের পাশাপাশি স্থানীয় হাটবাজারের মৌসুমে সুপারির আড়ত ও ফড়িয়াদের কাছে কৃষকরা বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন। এতে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের অভাব কাটিয়ে আনন্দের হাতছানি দিচ্ছে।
সুপারির স্থানীয় মোকামগুলোতে খুচরা ও পাইকারি কেনাবেচায় ব্যস্ত কৃষক ও পাইকাররা। এছাড়া বিশাল এলাকাজুড়ে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সুপারি। বাজারদর ভালো থাকায় সুপারি চাষে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার মানুষের। তবে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানুষের ঘরবাড়ি ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হওয়ায় চাষ করার মত তেমন জায়গা এখন আর নেই।
কমলনগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। উপজেলায় এবার ১১৯ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯৫ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর রামগতি উপজেলায় ৬৫৯ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ করা হয়। এতে প্রায় ২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সুপারি গাছে ফুল আসে। মূলত কার্তিক আর অগ্রহায়ণ মাসেই সুপারির ভরা মৌসুম। তবে এবার আশ্বিন মাসের শেষের দিকে বাজারে আসতে শুরু করে সুপারি।
এখানকার সুপারির প্রায় ৭০ শতাংশ নদীনালা, খালডোবা ও পুকুরে ভিজিয়ে রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর ৩০ শতাংশ সুপারি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ছাড়াও রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
স্থানীয় কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করছেন। হাট-বাজার ও লোকালয়ে পাইকারি প্রতি পনের দাম ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাউন (১২৮০টি) ২৮০০ থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় সুপারির প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র না থাকায় অনেক সময় কৃষকরা সুপারির ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ করেন অনেকে। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই সুপারি বিক্রির মোকাম রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, রামদয়াল বাজার, চরসেকান্দর ও আশ্রম এবং কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট, তোরাবগঞ্জ ও ফজুমিয়ারহাটসহ বিভিন্ন বাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।
করুনানগর এলাকার আবুল খায়ের ও আলী আহমেদ বলেন, চারা রোপণের ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে সুপারির ফলন আসতে শুরু করে। তবে বেশি ফলন ধরে ১০ থেকে ১২ বছরের পর থেকে। কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহীন রানা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলে সুপারি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলপন্থীদের আধিক্য ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়, অসন্তুষ্ট মুসলিম ভোটাররা সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বন্যা মোকাবেলা করেছে তরুণ সমাজ’ সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা যাবে না ১৫ বছরের জঞ্জাল ৩ মাসে দূর করা সম্ভব নয় : তারেক রহমান শেখ মুজিবের ছবির ব্যাপারে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র বিষয় আছে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সমর্থন দেবে ব্রিটেন আরো ৬০ দিন বাড়ল সশস্ত্রবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আ’লীগসহ ২৬ দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের নামে ভ্যাটিকানের নতুন উদ্যোগ আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২ মাস বেড়েছে

সকল