সিডরে নিহতদের গণকবর ঢেকে আছে ঝোপ-জঙ্গলে
- উত্তম গোলদার মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর ‘সিডর’। সিডরে নিহতদের গণকবর ঝোপ-জঙ্গলে ঢেকে আছে। প্রশাসন থেকে কবরস্থানটির তিনদিকে সীমানা প্রাচীর দেয়া হলেও কবরগুলোর চিহ্ন পর্যন্ত নেই। পারিবারিকভাবেও পরিস্কার-পরিছন্নও করা হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চরখালী খান বাড়ির পুকুরপারের গণকবরটিতে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র।
স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা ও চরখালী সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’। সেই রাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপজেলার চরখালী গ্রাম। পায়রা নদীর পারে চরখালী গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। সিডরের কয়েক বছর আগে থেকেই এই গ্রামের বেড়িবাঁধ ছিল নড়বড়ে অবস্থায়। সিডরের সময় এ জায়গায় জলোচ্ছাসের উচ্চতা ছিল ২০ ফুটের মতো। তখনো এলাকাটি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় লাশ দাফনের জন্য কোনো জায়গা না থাকায় বরগুনা-বরিশাল মহাসড়কের চরখালীর খান বাড়ির পুকুরসংলগ্ন উঁচু জায়গায় সারিবদ্ধভাবে ৩৩টি লাশ দাফন করা হয়। এর মধ্যে চরখালী গ্রামে মারা যায় ৪৫ জন। কিন্তু সিডরের ১৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও গণকবরটি একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। তিনি আরো বলেন, পায়রা নদী থেকে মাত্র চরখালী সমবায় বিদ্যালয় ও চরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৫০০ ফুট দূরে রয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙনের কবলে পড়বে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিডরের আঘাতে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও উপজেলায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। আংশিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় ১৪ হাজার, এ ছাড়াও উপজেলা ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৪০টি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়। সুবিদখালী সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবু সুভাষ চন্দ্র শীল ওই রাতে বিদ্যালয়ের আশপাশের লোকজনকে বিদ্যালয়ে তুলতে সক্ষম হলেও গাছচাপা পরে তার মৃত্যু হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে গণকবরটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা