বগুড়ায় সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি, বাড়ছে দুর্ভোগ
৭ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ১৫ ভাগ- আকরাম হোসাইন শেরপুর (বগুড়া)
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২
বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজ চলছে মন্থর গতীতে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তায় জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। সাত মাসে মাত্র শতকরা ১৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বিশেষ করে শেরুয়া বটতলা থেকে মির্জাপুর ব্র্যাক বটতলা পর্যন্ত এই রাস্তার দুইপাশে একাধিক সেমি. অটো রাইচ মিল, অটো রাইচ মিল, বাছাই মিলসহ বিভিন্ন ধরনের কল কারখানা থাকায় জনসাধারণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া এ কাজেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারেরও অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত ১২ হাজার ৩০ মিটার রাস্তা রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্থ ও শক্তিশালীকরণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রাক্কলিত মূল্য ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কাজটি রাজশাহীর বোয়ালিয়া ঘোড়ামারার সাহেব বাজার এলাকার বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেনের সাথে ১৭ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকায় চুক্তি হয়। কাজটি ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের ৭ তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সম্ভাবনা একেবারেই কম। বেশ কয়েক মাস হলো প্রশস্তকরণে রাস্তার পাশে মাটি খুঁড়ে রাখায় রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে (বিশেষ করে শেরুয়া বটতলা হতে ব্র্যাক বটতলা পর্যন্ত) ২০ থেকে ২৫টি সেমি অটোরাইচ মিল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকায় তাদের মালামাল বহনকারী গাড়ি নিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এমনকি অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, ঠিকাদারের লোকজন বালুর পরিবর্তে মাটি মিশ্রিত বালু ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি কিন্তু তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না।
চাতাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ইসলাম জানান, রাস্তার একধার খুঁড়ে রাখায় আমাদের ধান ও চাল আনা-নেয়ায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শফিউল আলম সুমন জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ পুরোপুরি শুরু হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা কাজ শেষ করবো। এ ছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের তথ্যটি সঠিক নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, কাজের গতি বৃদ্ধিতে ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়াসহ একজন সহকারী প্রকৌশলীকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, কাজের কোনো ত্রুটি মেনে নেয়া হবে না। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত মোট টাকার সাড়ে ৭ শতাংশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা