২৫ বছরে একটি সমাবর্তনে আটকে আছে হাবিপ্রবি
- রাফিউল হুদা হাবিপ্রবি
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। আর সেই চ্যান্সেলরের হাত থেকে নিজের কষ্টার্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র নেয়ার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর। তবে দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সেই সৌভাগ্য হয়েছে ২৫ বছরে মাত্র একবার।
দিনাজপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ১৯৭৯ সালে এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ লাভ করে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পর ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা ৯জন পিএইডি, ৭৯ জন মাস্টার্স এবং ৭৩০ জনকে ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এরপর আর কোনো সমাবর্তন হয়নি। এখন পর্যন্ত আরও ১৩টি ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের আশায় আছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নিয়ে যেনো কোনো মাথা ব্যথা নেই।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন জানান, ছোটবেলায় টিভিতে দেখতাম ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কালো গাউন পরে একটা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে জানতে পারলাম আসলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিদায় বেলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সনদ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে, যাকে সমাবর্তন বলে। তখন থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু এরকম একটা কালো গাউন নিজের শরীরে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ইতি টানবো। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হলেও কালো গাউন পরতে পারবো কি না এটা নিয়ে এখনও অনিশ্চিয়তায় আছি। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন প্রায় শেষের দিকে ।
সদ্য অনার্স শেষ করা ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: তানভীর আহমেদ জানান, হাবিপ্রবিতে দীর্ঘ ২৫ বছরে মাত্র একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা হতাশার। চার বছরের অনার্স শেষে সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের এক গর্বিত অধ্যায় শেষ করার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর। আমাদের জন্য সেটা অধরা রয়ে গেল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের ছবি যখন আমাদের বন্ধু-বান্ধবীরা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দেয়ার মাধ্যমে আনন্দে মুখরিত থাকে, তখন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের শুধু আক্ষেপই করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম এমদাদুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই সমাবর্তন আয়োজন করতে পারতেন। আমি মনে করি সমাবর্তন প্রতি বছরই করা উচিত।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম সিকদার জানান, আমার দায়িত্ব গ্রহণের এখনও সাত দিন হয়নি তাই আপাতত কিছু বলতে পারছি না। আমি ভিসি স্যারকে বিষয়টি জানাবো। আর আমাদেরও সমাবর্তন করার ইচ্ছা আছে।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. এম এনাম উল্লাহর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা