নন্দীগ্রামে আমন ধান কাটার ধুম
- ফজলুর রহমান নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮
শষ্যভাণ্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় শুরু হথয়েথছে আগাম জাথতের রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হচ্ছে, তাই উপজেলার প্রতিটা কৃষক রোপা ও আমন ধানের ফলনে বেশ খুশি। তারা ইতোমধ্যেই ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। রোপা আমন ফসলের মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালী হাসি। উজ্জ্বল রোদে সেই হাসি আরো ঝলমল করে উঠছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার অনেক মাঠেই কাস্তে নিয়ে ধান কাটার উৎসবে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নে রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কৃষিবিভাগ বলছে, পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু করতে আরো দিন দশেক লাগবে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা মেলে জমির ধান পেকে সোনালী রঙে শোভা ছড়িয়েছে। পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিক। শ্রমিকের পাশাপাশি ধান কাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ চাষি বিনা-১৭, ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৪৯, ব্রি-ধান ৯০ জাতের ধান চাষ করেছেন। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিনা-১৭ প্রতি মন ১৩ থেকে ১৪শ’ টাকা, ব্রি-ধান ৭৫ প্রতি মন ১৪ থেকে ১৫শ’ টাকা, ব্রি-ধান ৪৯ প্রতি মন ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা, ব্রি-ধান ৯০ প্রতি মন ১৬ থেকে ১৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রিধইল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় ধানের ফলন ১৬-১৮ মণ হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় সাত-আট হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। উপজেলার বর্ষন গ্রামের কৃষক আজাদ হোসেন বলেন, আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলেছি দাম ও ফলন দুটোই ভালো পেয়েছি এতে বেশকিছু টাকা লাভ হয়েছে। আগাম ধান কাটতে পেরে এখন রবিশস্য আবাদ করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো। এবারো নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা লাভবান হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা