বগুড়ায় চাল আলু পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির
- আবুল কালাম আজাদ বগুড়া অফিস
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫
বগুড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলাপর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করলেও তার তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি আমদানি শুল্ক মওকুফ, ট্যাক্স কমানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এর সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সরকারি উদ্যোগের আগে বাজার দর যেমন ছিল পরেও তেমন রয়েছে।
বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু, কঁাঁচামরিচের দাম আগের মতোই রয়েছে। বগুড়ার বাজারে দেশী পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১১০, কাঁচামরিচ ১৪০-১৬০, স্টিক আলু খুচরা বাজারে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে চালের দাম বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিআর-২৮ জাতের চালের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৬ টাকা।
ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুর রহমান রাজু বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, বগুড়া জেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। তিনি এ সময় তার এক উপজেলা কর্মকর্তাকে বাজারে খোঁজ নেয়ার নির্দেশ দেন।
এ দিকে আমাদের কাহালু সংবাদদাতা এম এ কাদের জানান, কাহালুতে প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শীতকালীন শাকসবজি বাজারে আমদানি প্রচুর থাকলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে মূল্য কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশী আলু ছিল প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, তা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। শুধু আলুই নয় গত সপ্তাহে পটোল ছিল ৪০ টাকা কেজি, তা বেড়ে হচ্ছে ৬০ টাকা। কাঁচামরিচ ৮০ টাকা থেকে ১০০ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। এ ছাড়া ফুলকপি ৯০ টাকা, মুলা ৪০, বেগুন ৮০, করলা ১২০, শিম ১২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ কৃষকপর্যায়ে কেজি-প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ক্রয় করছেন পাইকাররা। এতে করে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বাজার মনিটরিং করতে মাঠপর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হলেও স্থানীয় প্রশাসন সেগুলো যেন থোড়াই কেয়ার করছেন। তারা পরিষদ সাজাতে, জাতীয় দিবসসহ সভা-মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আবার কেউ কেউ আছেন পতিত সরকারের ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে। ফলে এখন পর্যন্ত বাজার মনিটরিংয়ে তাদের দেখা যাচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা