১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন

গোলাপগঞ্জে ৭ হত্যা মামলার রাঘববোয়াল আসামিরা অধরা

উপরে বাঁ থেকে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, নুরুল ইসলাম নাহিদ। নিচে বাঁ থেকে মঞ্জুর কাদির, শাফি চৌধুরী এলিম, আমিনুল ইসলাম রাবেল : নয়া দিগন্ত -

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও গুলিতে একই দিনে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছয়জন ও সিলেট শহরে একজনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে পৃথক সাতটি হত্যামামলা করেছেন নিহতের পরিবারগুলো। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র, পৌর কাউন্সিলর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কানাডা প্রবাসীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। মামলা দায়েরের পর অনুল্লেখযোগ্য কয়েকজনকে আটক করা হলেও রাঘববোয়াল আসামিরা এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে গত সোমবার বিকেলে গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে একটি সমাবেশ করা হয়েছে। অপরদিকে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন দুশচিন্তার মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের আদৌ বিচার হবে কি?
জানা যায়, ৪ ও ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম, শিলঘাট গ্রামের সানি আহমদ, বারকোট গ্রামের তাজ উদ্দিন, উত্তর কানিশাইল গ্রামের কামরুল ইসলাম পাভেল, দত্তরাইল গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন, রায়গড় গ্রামের হাসান আহমদ ও পৌর এলাকার উত্তর ঘোষগাঁও এলাকার গৌছ উদ্দিন। এ ঘটনার পর থানা ও আদালতে সাতটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। বাকি ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরীসহ এক হাজারের মতো অজ্ঞাত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়েরের আগেই গা-ঢাকা দেন আওয়ামী লীগের রাঘববোয়ালরা। কানাডায় পালিয়ে গেছেন উপজেলা লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান ও কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, লন্ডনে পালিয়েছেন পৌরমেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মাঠ কাঁপানো প্রভাবশালী নেতারা। আবার অনেকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অনেকে রয়েছেন আত্মগোপনে।
আত্মগোপনে আছেন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের কৃতী সন্তান ও ওই এলাকার সবচেয়ে গরিব মানুষ বলে সভা সমাবেশে পরিচয় দেয়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক কাজ করছে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান।
এদিকে নিহতদের পরিবারে এখনো কান্না থামছে না। আজো নিহতদের কথা স্মরণ হলে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেন না আপনজনেরা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, মামলার আসামি ও অপারাধীদের গ্রেফতারে তিনি পিছ পা হবেন না। জনগণের জানমাল নিরাপত্তাসহ অপরাধ নির্মূলে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে তার কাজেই গোলাপগঞ্জবাসী প্রমাণ পাবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করাচি থেকে প্রথম সরাসরি কার্গো পৌঁছেছে চট্টগ্রামে মুখরোচক খাবারে সরগরম লক্ষ্মীবাজারের স্ট্রিট ফুড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভারতের লাভ? মন্ত্রিসভায় চীন-পাকিস্তানবিরোধী ব্যক্তিরা! লড়াই করেও ভারতের কাছে হেরে গেল দ. আফ্রিকা মণিপুরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের কনভয়ে আগুন ভারতে 'বুলডোজার-শাসন' নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট ৪ উপদেষ্টার আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা পঞ্চদশ সংশোধনীর লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ধ্বংস করা পৃথিবীর সুরক্ষায় ৩ শূন্যের জীবনধারা গড়তে হবে সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে, সিদ্ধান্ত সরকারের : সেনা সদর

সকল