১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লংগদুর কাট্টলী বিলে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন

লংগদুর কাট্টলী বিলে বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদন -

রাংগামাটির কাপ্তাই হ্রদের শুঁটকি মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির এসব শুঁটকি। দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির মাছ থেকে উৎপাদিত শুঁটকির একটি বড় অংশ উৎপাদন হয় কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য থেকে। আগে দামে সস্তা থাকায় শুঁটকিকে গরিবদের খাবার বলা হতো। কিন্তু এখন বদলে গেছে শুঁটকির সেই অবস্থান। শুঁটকি এখন দেশের ধনীদের খাবার ম্যানুতে স্থান পাচ্ছে। এমনকি দেশের বিভিন্ন নামী-দামি রেস্টুরেন্টে ও বিলাসবহুল হোটেলেও শুঁটকির বিশেষ চাহিদা রয়েছে।
এবার শীতের শুরু থেকে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকার নদী পাড়ে কাঁচা মাছকে রোদে শুকিয়ে ‘শুঁটকি মাছ’ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। আগামী এপ্রিল-মে পর্যন্ত টানা চলবে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম। অনুকূল আবহাওয়া ও সূর্যালোকের কারণে লংগদু উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি কাঁচা মাছের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ছোট ছোট অনেক শুঁটকির সাইট। তবে কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলী বিলের মধ্যস্থানে অবস্থিত কাট্টলী বাজারে গিয়ে দেখা যায় বৃহৎ পরিসরের বেশ কয়েকটি শুঁটকির ঘের। সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের ২০-৩০ জন মানুষ মহাব্যস্ত শুঁটকি উৎপাদনে। কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে মাছ নিয়ে অসংখ্য ট্রলার কাট্টলী বিলের বাজার ঘাটে ভিড়ছে। এসব ট্রলারে আসা বিভিন্ন রকমের কাঁচা মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। এ ছাড়া মাইনী মুখ, কালাপাকুজ্জা, মাহিল্যা, গুলশাখালী, বগাচতর, ভাসাইন্যাদম, ফোরের মুখ, সাদু টিলাসহ লংগদু উপজেলার নদী পাড়ের মানুষের কয়েক হাজার বসত ঘরের ছাদে ও উঠানে মাচা বানিয়ে মাছ শুকিয়ে বানানো হচ্ছে শুঁটকি।
শুঁটকি উৎপাদনকারীরা জানান, এখানে উৎপাদিত বেশির ভাগ শুঁটকিতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে নদী পাড়ের পাশে মাচা বানিয়ে তৈরি করা হয় শুঁটকি। তাই কাপ্তাই হ্রদের শুঁটকির চাহিদা সারা বাংলাদেশে।
উপজেলার এক শুঁটকি ব্যবসায়ী জানান, এখানে কেচকি, চাপিলা, চান্দা, পুঁটি, শোল, চিংড়ি, বাইম, ফলিপাতা, তেলাপিয়া মাছসহ অন্তত ১২-১৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয়। বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি ৫-৬ মাস এখানে শুঁটকি উৎপাদন চলে। নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এখানে প্রতিদিন গড়ে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ কেজি কাচা মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকতার সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মেসেজ দিয়েও তার থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
অশান্ত মনিপুরে কারফিউ বাকুতে বিশ্বনেতাদের কণ্ঠে প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা ১০ বিভাগে বড় সমাবেশ করবে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি গাইবান্ধায় হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই ভূমিকা রাখতে হবে : তথ্য উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালে ৯ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পা হারানো লিমনের অভিযোগ দায়ের ওলামাদের মধ্যে রূহানি ঐক্য প্রয়োজন বিশ্বে জলবায়ু সঙ্কট ও সঙ্ঘাতে ১২ কোটি শরণার্থী সতর্ক করল জাতিসঙ্ঘ ডিএনএ টেস্টে মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী প্রমাণিত

সকল