বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতে ধস
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় কমেছে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত। এ কারণে ভ্রমণকর বাবদ কমছে রাজস্ব আদায়ও। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ওপর। ৫ আগস্টের পর থেকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৭-৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। দূরত্ব কম হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী এই পথেই ভারত যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ যাত্রী চিকিৎসা ছাড়াও বিজনেস ও ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান।
ভারত সরকার বিজনেস ভিসা না দেয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শেখ হাসিনার পতনের আগে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। বর্তমানে রাজস্ব আদায় হচ্ছে মাসে ৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী চিকিৎসা নিতে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী জানান, আমরা মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভারতে যাচ্ছি। ভিসা পেতেও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আগেও বেনাপোল হয়ে ভারতে গেছি কিন্তু চেকপোস্টের এমন চিত্র কখনো দেখিনি। আমরা কয়েকজন ছাড়া ভারতে যাওয়ার কোনো যাত্রীই নেই।
বর্তমানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ভিসা অফিস থেকে প্রতি দিন ৩১৫ জনকে মেডিক্যাল ভিসা দেয়া হচ্ছে। সাথে স্টুডেন্ট ভিসা এবং জরুরি ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। বেনাপোল সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, ট্যুরিস্ট ভিসা চালু না করলে আগামী এক মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। যাত্রী না থাকায় আমাদের পরিবহন ব্যবসায়ও ধস নেমেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আগে ৫-৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। ৫ আগস্টের পর যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা