সাটুরিয়ায় বর্জ্য কেড়ে নিচ্ছে গাজীখালী নদীর প্রাণ
- মো: হুমায়ুন কবীর সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
এক সময়ের খরস্রোতা নদী যৌবন হারিয়ে আজ মৃত প্রায়। নদীর দুই পাড়ে নানা রকম বর্জ্য ফেলায় অস্তিত্ব সঙ্কটে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার গাজীখালী নদী। নদীতে প্রতিনিয়ত সদর বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এক দিকে যেমন ভরাট হচ্ছে নদী, অন্য দিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু।
উপজেলা সদরে কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় নদীর বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ফলে পুরে গাজীখালী নদীই পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। এ অবস্থায় উপজেলায় দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করে নদী ও পরিবেশ বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাটুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রানা বলেন, নদীতে ফেলা বর্জ্যরে দুর্গন্ধে মাঝে মধ্যে দোকানে থাকতে সমস্যা হয়। জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানোর পর কেবল আশ^াস পেয়েছি। কিন্তু দৃশ্যমান কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখিনি। কলেজশিক্ষার্থী নূরনবী বলেন, প্রতিনিয়ত কলেজে যাওয়ার পথে গাজীখালী নদীতে ময়লার দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হই।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান নয়া দিগন্তকে বলেন, গাজীখালী নদীতে প্রতিনিয়ত ময়লা-আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর পাশ দিয়ে নিত্য যাতায়াতকারী কলেজ শিক্ষার্থী, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। বর্জ্য ফেলার জন্য উপজেলায় একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মামুন অর রশিদ জানান, খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনার ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্য দিকে রয়েছে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডাম্পিং স্টেশনের জন্য নির্ধারিত জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলে জেনেছেন ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু নয়া দিগন্তকে জানান, নির্ধারিত স্থান না থাকায় সদর বাজারের বেশ কিছু জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে গাজীখালী নদীতে। এতে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দুটোই হুমকির মুখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সদর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গার ময়লা-আবর্জনা বহন করে নির্দিষ্ট স্থানে আনার জন্য এরই মধ্যে গাড়ি বানানো হয়েছে। এ ছাড়া ডাম্পি স্টেশন করার জন্য নিরাপদ জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা