সোনারগাঁওয়ের মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান
- হাসান মাহমুদ রিপন সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ)
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধ যান নসিমন, ভটভটি, অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান ও সিএনজি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে যাত্রামুড়া পর্যন্ত এসব যান চলাচল করছে। মহাসড়কে এসব যান চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ নেই পুলিশ প্রশাসনের। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত সাতটি স্থানে মহাসড়কের ওপর অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এসব স্ট্যান্ডে অটোরিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও ভটভটি রেখে যান চলাচলে বিঘœ ঘটায়। গত শনিবার মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ অসংখ্য অবৈধ যানবাহন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কে যত্রতত্র চলাচল করছে। হাইওয়ে ও থানা-পুলিশের একাধিক গাড়ি চলাচল করলেও এসব যান চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায়নি। এসব যানবাহন সবচেয়ে বেশি উল্টো পথ ব্যবহার করে চলাচল করে। চালকদের নেই কোনো লাইসেন্স কিংবা প্রশিক্ষণ। নেই গাড়ির ফিটনেস। সিএনজি অটোরিকশা চলকরা জানায়, ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে হাইওয়ে পুলিশ ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্ব পালন করায় তাদের যত্রতত্র চলাচলে কোনো বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে না।
জানা যায়, ২০১৫ সালে মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো, নছিমন-করিমনসহ সব ধরনের ধীরগতির যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য এসব যানবাহনকেই দায়ী করে উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশনার পর কিছুদিন পুলিশ প্রশাসন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিলেও এখন সেই কঠোরতা নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকায় তিন চাকার যানবাহন নির্বিঘেœ চলাচল করছে। যে কারণে দূরপাল্লার দ্রুতগতির যানবাহনকে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত গত এক বছরে ছোট-বড় ৬২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারান ১৯ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
সোনাখালী গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাওয়ার জন্য তাকে এ মহাসড়কটিই ব্যবহার করতে হয়। সিএনজি অটোরিকশাই সেখানে যাওয়ার এক মাত্র অবলম্বন। এতে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। এই মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেন করা হলে যাতায়াত নিরাপদে হতো।
অটোরিকশা যাত্রী শফিউল্লাহ বেপারি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, বাজার, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে এ মহাসড়কটিই ব্যবহার করতে হয়। মহাসড়কে চলাচলে কোনো দূরপাল্লার পরিবহন তো আর পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা অন্য কোনো বাহন ব্যবহার করতে হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব যান বাহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিতভাবে বাধা দিয়ে আসছে। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু কিছু অটোরিকশা মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। পুলিশের চোখে পড়লে তখনই সিজস করে মামলা দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, মহাসড়কের ওপর যাতে অবৈধ যান চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সদা সতর্ক রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা