অন্তর্বর্তীকালীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন

দীর্ঘ তিন মাস পর অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের এই অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদে বান্দরবানে অধ্যাপক থানজামা লুসাই, রাঙ্গামাটিতে কাজল তালুকদার ও খাগড়াছড়িতে জিরুন ত্রিপুরাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়। পরিষদের বাকি ১৪ জন সদস্যের মধ্যে বাঙালিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অধিকাংশ সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। এতে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো এবং ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, সমাজসেবা ও পর্যটনসহ ২৩টি বিভাগ জেলা পরিষদে ন্যস্ত রয়েছে। অন্যদিকে ভূমি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ দেখভালও করে জেলা পরিষদগুলো।
১৯৮৯ সালে তৎকালীন স্থানীয় সরকার হিসেবে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে এই স্থানীয় সরকারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর যে সরকারই এসেছে তারা দলীয় লোক দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে এ পরিষদ চালিয়েছে। সম্প্রতি গণ আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে।
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই ইতোপূর্বে ২০১১ সালেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানিতে এমএসসি করেন। সর্বশেষ দিন ১৯৯৪ সালে কক্সবাজার মহিলা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের লুসাই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত।