রংপুর মেডিক্যালের ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে ওষুধ বিক্রি
- সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর ব্যুরো
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারি ওষুধ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে প্রকাশ্যে সেই ওষুধই বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে। এ নিয়ে ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা দুইজনকে আটক করে আনসার সদস্যের হাতে দিলেও আনসার সদস্যরা তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দোতলায় ৩ নং পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। যাদেরকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন হাসপাতালের কর্মচারী আনজুআরা বেগমের ছেলে মমিনুর রহমান রিপন। তিনি হাসপাতালের সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। অপরজন হলেন বেসরকারি সেবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের কমিশন এজেন্ট আরমান আলী।
কারমাইকেল কলেজের ছাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি বুধবার সন্ধ্যায় আমার মামা তোফাজ্জল হোসেনকে ঠাকুরগাঁও থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আমাকে হাসপাতালে মজুদ নেই জানিয়ে সাদা কাগজে ওষুধের প্রেসক্রিপশন লিখে দেন এবং তা বাইরে থেকে আনতে বলেন। আমি বাইরে ওষুধ কিনতে যাব এমন সময় সেখানে থাকা মমিনুর রহমান রিপন ও আরমান আলী আমার হাতের স্লিপটি নিয়ে বলেন তাদের কাছে সরকারি ওষুধ আছে। অর্ধেক মূল্যে কিনতে পারেন। আমি তার কাছে দরদাম করে ওষুধগুলো ক্রয় করি।
এর মধ্যে আমি আমার বন্ধুদের বিষয়টি মেসেজ করে জানালে তারা হাসপাতালে আসেন এবং রিপন ও আরমান আলীকে আটক করে সেখানে থাকা আনছার সদস্যদের কাছে সোপর্দ করি। কিন্তু আনছার সদস্যরা তাদেরকে কর্তৃপক্ষের কাছে না নিয়ে উল্টো ছেড়ে দেন। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে রোগীদের স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বাইরে থেকে ওষুধ আনতে। আর ওয়ার্ডের ভেতরেই সেই সরকারি ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে।
আটকদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত দুই আনছার সদস্যের একজন বাবুল হোসেন জানান, আমরা হাসপাতালে নতুন এসেছি। ভ্রাম্যমাণ ডিউটিতে ছিলাম। কয়েকজনের কথা কাটাকাটি দেখে সেখানে যাই। আমাদের দেখেই তারা দ্রুত বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা: আখতারুজ্জামান বলেন, বিকেল পাঁচটার সময় অফিস শেষ করে চলে এসেছি। এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। পরিচালক স্যার জয়েন করেছেন। কালকে এসে তার সাথে কথা বলবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা