০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈশ্বরদীতে পদ্মার চরে বিষক্রিয়ায় ১৬টি গরুর মৃত্যু, অসুস্থ ২০

-

ঈশ্বরদীর পাকশীর চররূপপুরে পদ্মার চরে বিষক্রিয়ায় ১৬টি গরুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেলে গবাদি পশুর চারণভূমির পাশের এক কলা ক্ষেতের কলাগাছ খেয়ে এসব গরু বিষক্রিয়ায় মারা যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় আরো প্রায় ২০টি গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গরুগুলোকে চরে ঘাস খাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাস খাওয়ার এক পর্যায়ে গরুগুলো চরের একটি কলা বাগানের কিছু চারা কলাগাছ খেয়ে ফেলে। এরপর চরের মাঠ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঠেই মরে যায় পাঁচটি গরু। পরবর্তীতে নদীর কিনারায় এসে মারা যায় আরো তিনটি গরু। বাড়িতে এসে মারা যায় আরো কয়েকটি গরু। এর মধ্যে কয়েকটি গরু জবেহ করা হয়।
মারা যাওয়া গরুগুলো মালিকদের মধ্যে মফেজ্জল বিশ্বাসের ৯টি গরু, সাহাবুল বিশ্বাসের তিনটি, জয়নাল বিশ্বাসের একটি, বিকুল প্রামানিকের দু’টি, ইকবাল প্রামানিকের একটিসহ মোট ১৬টি গরু মারা গেছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
ভুক্তভুগী মফেজ্জল বিশ্বাসের ভাই এজাজ বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলার গাছগুলোতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। গাছ খেয়েই গরুগুলো মারা যায়।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দিয়েছেন এবং মৃত গরুগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা ও গোশত ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়ে গেছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, ল্যাব টেস্টের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই চরের জমিতে আর গবাদি পশু বিচরণ করিয়ে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement