রেললাইনের পাশে সবজি চাষে স্বাবলম্বী সফিয়ার
- লালমনিরহাট প্রতিনিধি
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের সফিয়ার রহমান নামে এক ভূমিহীন কৃষক রেললাইনের ধারের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন। লম্বালম্বি প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘের পতিত জমি তিনি চাষাবাদের আওতায় এনেছেন। চার ফিট প্রস্থের এই জমিগুলো দীর্ঘদিন এমনিতেই পড়েছিল। এখন সেই জমিতে তৈরি করা মাচায় শোভা পাচ্ছে উন্নত জাতের (ডায়না-ময়না জাতের) লাউ ও অন্যান্য সবজি।
লাউয়ের পাশাপাশি তিনি লাগিয়েছেন ঝিঙা, সিম, মিষ্টিকুমড়া ও মিষ্টি আলু। পরিকল্পনা করেছেন এখন তিনি বস্তায় আদা, হলুদ জাতীয় ফসলের চাষও করবেন।
সফিয়ার রহমানের নিজের কোনো আবাদি জমি নেই। আগে কাজ করতেন দিনমজুরের। তিন বছর আগে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ায় ভারী কাজ করতে পারেন না। এখন রাতে স্থানীয় একটি বিল পাহারাদারের কাজ করছেন। সেই সাথে দিনের বেলায় রেল লাইনের পাশের এই জমিতে লাগানো সবজি ও ফসলের দেখাশোনা করেন। পতিত জমিতে সবজির চাষ করার পর তার আটজনের টানাপড়েনের সংসারে স্বচ্ছলতার আলো এসে পড়ছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম নিজে এসে ভূমিহীন এই কৃষককে সড়ক ও রেললাইনের ধারের ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। নামমাত্র খরচে এমন বড় আকৃতির সবজির ক্ষেত থেকে তার ভালো আয় রোজগার হচ্ছে বলে জানান ভূমিহীন কৃষক সফিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, রেললাইনের ধারের বিল পাহারা দিই। প্রথমে সড়কের পাশে লাউ লাগিয়েছিলাম। ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এখন রেললাইনের দুই ধারের ফাঁকা জায়গায় ব্যাপক আকারে সবজির চাষ শুরু করছি। আমার নিজের বাড়িটি মাত্র তিন শতাংশ জায়গার ওপর। কোনো রকম ঘর করে থাকি সেখানে। সুন্দর পরামর্শ পেয়েছি আমি উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে।
কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাকে বিল পাহারা দিতে দেখে রেল লাইনের ধারের পতিত জমিতে কৃষি কাজ করার পরামর্শ দিই। জমিগুলো তো এমনিতেই পড়ে আছে। পতিত জমিগুলো তিনি বেশ কাজে লাগাতে পেরেছেন। তার আরো সাফল্য কামনা করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা