০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১,
`
কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল

নাম পরিবর্তন হলেও বহাল স্বৈরাচারের দোসররা

-

মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নাম পরিবর্তন হয়ে মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হলেও পরিবর্তন হয়নি স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও তাদের সহায়তাকারী চক্র। বহাল তবিয়তেই দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে মানিকগঞ্জ সদর আসনের সাবেক এমপি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পছন্দের সেই পুরনো দুর্নীতিবাজরাই। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, স্বাচিবের সমন্বয়কারী, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চরম বিরোধী, বিগত ৪ বছর ধরে দাপটের সাথে মেডিক্যাল কলেজের সহকারী পরিচালক হিসাবে দায়িত্বরত ডা: সৌমেন চৌধুরীকেই ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার নিমিত্তে সমন্বয় সেল স্থাপন’ করে তাকেই এ সেলের প্রধান করা হয়েছে। গত ২১-১০-২০২৪ ইং তারিখ হাসপাতালের পরিচালক ডা: সফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সমন্বয় সেল গঠন করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা: সফিকুল ইসলাম বলেন, সৌমেন বাবুর এ ধরনের কোনো খবর আমি জানি না। পরিচালক সাহেবের রাজনৈতিক পরিচয়ও নাকি সৌমেন বাবুর এই ধারার এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন চিকিৎসক।
ডা: সৌমেনকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে আমি তেমন কিছুই লিখি নাই। পরে তিনি বলেন, আমি এই কমিটিতে থাকবো না। ছাত্রলীগ ও স্বাচিব করার বিষয়ে বলেন,আসলে এক একটা সময় এক এক রকম যায়।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজের নামকরণ করা হয় তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের বাবা কর্নেল আ: মালেকের নামে।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের শুরু থেকেই ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশন, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফসার সরকার, ছাত্রলীগ সভাপতি সিফাত কোরেশী সুমনসহ মন্ত্রীর ‘খলিফা চক্র’ খ্যাত আ’লীগ নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও অপকর্মে মেতে উঠে। এদের অন্যতম সহযোগী ডা: সৌমেন সব অপকর্মের হোতা বলে অভিযোগ রয়েছে। ডা: সৌমেন বিগত ২১-১২-২০২০ তারিখ হতে এ হাসপাতলে কর্মরত আছেন।
মানিকগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হাসান শিকদার, স্বপন মিয়া ও মাহবুব এদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
তবে জেলায় কর্মরত চিকিৎসক,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সিভিল সার্জন হিসাবে ডা: মুহাম্মদ মোকছেদুল মোমিন যোগদান করার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগে চমৎকারভাবে পরিবর্তন আসা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে রোগীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে যে নেতিবাচক মনোভাব ছিল তা পরিবর্তন হয়ে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement