কেশবপুরে পটোলের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষক
- কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু পটোল আর পটোল ক্ষেত। মাচা পদ্ধতিতে পটোল চাষ করায় যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। একটির গায়ে আরেকটি ফুল যেন পদ্ম ফুলের মত দাঁড়িয়ে আছে। মাটি থেকে দুই-তিন ফুট উঁচুতে ‘ধাতব তার ও বাঁশ’ দিয়ে তৈরি মাচায় ঝুলছে অসংখ্য পটোল।
এ দৃশ্য কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল চারের মাথার বিস্তীর্ণ মাঠের। এখানে প্রতি বছরই পটোল চাষ হয়। কিন্তু এবার আরো ব্যাপক আকারে হয়েছে। এছাড়া, এবার অধিকাংশ চাষি মাচার ওপরে পটোল চাষ করেছেন। এতে ফলনও যেমন হয়েছে, দামও তেমনি বেশি পাওয়ায় উৎফুল্ল মেজাজে রয়েছেন তারা।
বর্ষায় তলিয়ে না গেলে পটোল একবার চাষ করলে একাধারে ২-৩ বছর পর্যন্ত ফলন তোলা যায়। পটোল গাছের জীবনকাল বেশি এবং রোগবালাই কম হওয়ায় চাষিরা পটোল চাষে বেশ লাভবান হতে পারেন। পটোলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। লম্বা ও চিকন, খাটো ও মোটা, গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ। ডোরা কাটা ও ডোরা কাটা বিহীন, পুরু ত্বক থেকে হালকা ত্বক।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পটলের দুটি জাত আবিষ্কার করেছে। জাত দুটো উচ্চ ফলনশীল ও রোগবালাই সহ্য করতে পারে। এই দুটি জাত হলো ‘বারি পটোল-১’ ও ‘বারি পটোল-২’। এই দুই জাতের পটোলের হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০ থেকে ৩৮ টন। বারি পটোল-১ আকারে ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা, বেড় প্রায় দেড় ইঞ্চি। একেকটির ওজন ৫০-৫৫ গ্রাম। প্রতি গাছে সর্বোচ্চ ২৪০ টি পটোল ধরে, যার মোট ওজন প্রায় ১০ কেজি। একর প্রতি ফলন: ১২ হাজার ১৪৫ কেজি বা প্রতি শতাংশে ১২০ কেজি। অন্যদিকে বারি পটোল-২ সাড়ে তিন থেকে চার ইঞ্চি লম্বা হয়। বেড় দেড় থেকে পৌনে দুই ইঞ্চি। প্রতিটি পটোলের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। প্রতি গাছে সর্বোচ্চ ৩৮০ টি পটোল ফল ধরে, যার মোট ওজন ১৪ কেজি। একর প্রতি ১৫ হাজার ৩৮৫ কেজি বা প্রতি শতাংশে ১৫০ কেজি ফলন হয়।
পটোলের জন্য উত্তম বেলে দো-আঁশ, দো-আঁশ মাটি। এ ছাড়া উঁচু ও মাঝারি উঁচু, বন্যামুক্ত এবং সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনযুক্ত ক্ষেতে পটোল চাষ করতে হয়। বেলে মাটিতেও পটোল জন্মে, তবে ফলন কম হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে পটোল আবাদ হয়েছে। ওই এলাকার মাটি সবজি চাষের উপযোগী। কৃষকদের লাভবান করতে দিকনির্দেশনাসহ সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পটোল আবাদে খরচ কম লাভ বেশি। যে কারণে দিন দিন পটোলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ এলাকায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা