বেলতলি নৌপুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভাড়া ভবনে
- শেখ ওমর ফারুক মতলব উত্তর (চাঁদপুর)
- ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নিরাপত্তাহীনতা ও জনবল সঙ্কট নিয়েই চলছে মতলব উত্তরের বেলতলী নৌপুলিশ ফাঁড়ি। তাদের অফিস থাকার কথা উপজেলার সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের বেলতলী এলাকায়। কিন্তু নিজস্ব কোনো ভবন না থাকায় নৌপুলিশ ফাঁড়িটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ষাটনল ইউনিয়নের কালীপুর বাজার থেকে। ফাঁড়িটি মার্কেটের ভেতরে এক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দোতলায় অবস্থিত।
২০১৯ সালে বেলতলি নৌপুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয়। প্রায় ছয় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের নিজস্ব ঠিকানা হয়নি। একটি পুরনো ভাড়া মার্কেটে ফাঁড়ির কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নেই কোনো নিরাপত্তা, নেই আসামি রাখার হাজতখানা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম সঙ্কটের কারণে প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারছেন না ফাঁড়ির নৌপুলিশ সদস্যরা। নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্পিডবোট বরাদ্দ দেয়া হয়নি। নৌ-পথের বিশাল এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাদের জনবল সঙ্কটও রয়েছে।
বেলতলী নৌপুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন নদীগুলো হলো- মেঘনা নদীর ষাটনল লঞ্চ ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলা, গজারিয়া উপজেলা, দাউদকান্দি উপজেলার সীমানা পর্যন্ত এবং মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদীর শ্রীরায়ের চর, বাংলাবাজার থেকে কালীরবাজার, খাগুরিয়া, হাফানীয়া, বেলতলী, কালীপুর, লালপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার নৌ-পথের এক বিশাল এলাকা।
বর্তমানে বেলতলী নৌ-পুলিশের দায়িত্বে রয়েছেন একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক, দুইজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ পাঁচজন সদস্য। এই স্বল্প জনবল নিয়েই নিয়মিত নৌপথ টহলের কাজ চলছে। নৌ-পুলিশের সরকারি কোনো স্পিডবোট না থাকায় নদীতে অপরাধ দমন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে বেশ চ্যালেঞ্জিংয়ে পড়তে হচ্ছে।
ইঞ্জিনচালিত একটি স্যালো নৌকা নিয়ে নদীপথে টহলের কাজ চালাচ্ছেন তারা। নদীপথে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে নৌ-পুলিশের অভিযানে গত দুই মাসে চারটি মামলা ও ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এ অঞ্চলে নৌ-পুলিশের তৎপরতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তবে এ পথে নৌযান পরিচালনাকারীরা বলছেন, এখনো নানা কৌশলে নদীতে চাঁদাবাজি চলছে। এ ছাড়া রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ পুরোদমে চালানো হয়। নৌ-পুলিশের সীমাবদ্ধতা দূর হলে এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলানো যাবে।
বেলতলী নৌ-পুলিশের ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, স্বল্প জনবল দিয়ে নিয়মিত নদীতে টহলের কাজ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তবে নৌ-পথের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্পিডবোট একান্ত প্রয়োজন।
চাঁদপুরের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, আবাসন সমস্যার কারণে জনবল বাড়ানো যাচ্ছে না। নৌপথে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দ্রুত একটি স্পিডবোট দেয়ার বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা