বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন
- যশোর অফিস
- ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যশোরের শিল্প শহর নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জনিকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে নওয়াপাড়ার সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের হাতে। গত ১৫ বছরে নওয়াপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২২ জন। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর নির্যাতিত এখানকার ব্যবসায়ীরা হাফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদুজ্জামান জনি ও তার সহযোগীরা চাঁদাবাজি শুরু করেন। গত ১৪ অক্টোবর রাতে জনির নেতৃত্বে হিরা, মিঠু, শিমুল, সাজ্জাদ, সাইদুজ্জামান সাগর, শাহ মাহমুদসহ ২০-২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি নওয়াপাড়া বাজারের সার ও কয়লা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার ট্রেডার্সে নির্ধারিত চাঁদা না পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকারকে বেধড়ক মারপিট করে।
এ ঘটনার পর জনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ১৭ অক্টোবর সরকার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ সরকার উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর বিএনপি নেতাদের কাছে লিখিত আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এবং নওয়াপাড়া পৌর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে যশোর জেলার আহ্বায়ক কমিটির কাছে জনির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ ১৪টি অভিযোগ তুলে ধরে বহিষ্কারের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
এ দিকে, জনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে গত ২১ অক্টোবর উপজেলা ইমাম পরিষদ ও হেফাজতে ইসলাম, ২৪ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নওয়াপাড়া বাজারে মানববন্ধন পালন করে। এ বিষয়ে আছাদুজ্জামান জনি বলেন, ‘আমার ব্যবসা সংক্রান্ত ডিও লেটার নিয়ে হীরা নামে একজন সরকার গ্রুপের অফিসে গেলে দরদাম নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হীরা সরকার গ্রুপের চেয়ারম্যানকে একটি চড় মারে।’ অভয়নগর থানার ওসি ইমাদুল হোসেন বলেন, জনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা