শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী জুবায়ের আহমেদের এইচএসসি জয়
- মুহাম্মদ কাইসার হামিদ কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ)
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে প্রতিবন্ধকতার পরাজয়। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। জন্মের পর থেকেই দুই হাঁটু ও হাতে ভর করে চলে জুবায়ের আহমেদ। কথাবার্তা অস্পষ্ট তবু পড়াশোনার প্রতি তার অদম্য আগ্রহ শৈশব থেকে। এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার দুই বছর আগে (২০২০ সালে) তার মা মারা যান। ২০২১ সালে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। মায়ের মৃত্যুরপর থেকে অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে জুবায়ের।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বাঁধন টেকনিক্যাল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জুবায়ের পেয়েছিল জিপিএ-৪.৫৪। জুবায়ের এবার ২০২৪ সালে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছে জিপিএ-৩.৬৩।
গত রোববার কুলিয়ারচর বাজারের পপুলার মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা জুবায়েরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার দু’টি পা সম্পূর্ণ অচল। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে হয়। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছি। লেখাপড়ায় বিশেষ করে আমার বাবা, মা, দুলাভাই ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: নিয়ামুল ইসলাম আঙ্কেল আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। কিছুদিন আগে আমার হাঁটুতে থাকা একটি টিউমার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন করে দিয়েছিলেন ডাক্তার মো: নিয়ামুল ইসলাম আঙ্কেল। জুবায়ের সরকারের কাছে একটি সরকারি চাকরির দাবি করেন।
কুলিয়ারচর উপজেলার পূর্ব ভাগলপুর গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও মরহুমা জাকিয়া সুলতানা দম্পত্তির ছেলে জুবায়ের আহমেদ। তার বাবা পীরপুর চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম। তার বাবা বলেন, সে সরকারি তালিকাভুক্ত একজন প্রতিবন্ধী। ডা: মো: নিয়ামুল ইসলাম বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিনই জুবায়েরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবো।
জুবায়েরের এ সাফল্যে আনন্দিত উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরাও। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। সমাজের মূল স্রোতের সাথে তাদেরকে অংশগ্রহণ করাতে হবে। তবেই দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা