২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সিসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাতিল

-

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান গণমাধ্যমকে বাতিলের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বাতিল করা হয় সিসিকের দুই হাজার ৫০৯ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। সরকার পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ও চলমান সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া প্রকল্পটির মধ্যে ছিল সিটি করপোরেশনের এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
মূল প্রস্তাবিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই প্রকল্পে সিসিকের নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ২৫০ কোটি টাকা।
পরবর্তীতে বর্ধিত ওয়ার্ডসহ অন্যান্য খাতে কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনুমোদিত ১২২৮ কোটি টাকার সাথে আরো ৩৮ কোটি টাকা যোগ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ফলে প্রকল্পের আকার বেড়ে ১২৬৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। পাশাপাশি মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করে ২০২৪ পর্যন্ত করা হয়।
এই প্রকল্পে সিসিক দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই ও উপযুক্ততা নির্ণয়ে সিলেটে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় মন্ত্রণালয়। প্রতিনিধি দল প্রকল্পের পূর্বে অনুমোদিত ১২৬৬ কোটি টাকার সাথে আরো ২৭২৫ কোটি টাকা চাহিদা নির্ণয় করে।
এতে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় মোট ৩৯৯২ কোটি টাকায়। যেখানে সিসিকের নিজস্ব ব্যয় ২৫০ কোটি টাকা ধরা হয় এবং মেয়াদ আরো তিন বছর বৃদ্ধি করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব হিসেবে অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়। চলতি বছরের মে মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত প্রতিনিধিদল চাহিদা নিরুপন করে সরেজমিন প্রতিবেদনে ৩৯৯২ কোটি টাকা থেকে আরো ২০৬ কোটি টাকা কমিয়ে ৩৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।
প্রকল্পটি মূলত সিলেট নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কথা ছিল।
দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবনায় যেসব কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তা মূলত সিটি করপোরেশনের আয়তন বৃদ্ধি হওয়ায়। নতুন ১৫টি ওয়ার্ড বৃদ্ধি পেয়ে সিসিক এলাকার আয়তন ২৬.৫ থেকে ৭৯.৫ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ জানান, প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়ায় বর্ধিত এলাকার নাগরিকদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটু বিলম্বিত হবে। আমরা আশা করেছিলাম কিছু বরাদ্দ হয়তো দেয়া হবে। কিন্তু কোনো বরাদ্দ অনুমোদিত না হয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি বাতিল হওয়ায় নতুন ওয়ার্ডের নাগরিকরা আশাহত হয়েছেন।
নতুন করে প্রকল্প প্রনয়ণ ও তা বাস্তবায়ন অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়। সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোতে নাগরিক সেবা পুরোপুরি নিশ্চিত না করে তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার কর আদায় করা যাচ্ছে না। রাজস্ব খাতে এটি একটি সমস্যা ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, এটি তিন বছর আগের প্রকল্প। আমরা এর সম্প্রসারণ চেয়েছিলাম। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে আমরা আরো অনেক কাজ করাতে পারতাম।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্বিতীয়বারের স্বাধীনতা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি করতে দেয়া হবে না : মামুনুল হক দ্বিতীয়বারের স্বাধীনতা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি করতে দেয়া হবে না : মামুনুল হক বিজিএমইএ প্রশাসকের কাজে যোগদান প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আটক মিয়ানমারের ২ নাগরিককে পুশব্যাক চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫ চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫ হজ প্যাকেজ ঘোষণা ৩০ অক্টোবর সাবেক দুই মন্ত্রী মোজাম্মেল ও নাহিদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মুখ্য সময় এখন : খেলাফত আন্দোলন

সকল