জামালপুর রেলস্টেশন এলাকায় প্রতিদিন ঘটছে চুরি-ছিনতাই
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৭
জামালপুর রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকা যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধের ঘটনা। জামালপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের সাথে স্থানীয় অপরাধীদের সখ্যতার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। প্রতিনিয়ত অপরাধ সংঘটিত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় চিহ্নিত অপরাধীরা। এতে জেলার সাধারণ মানুষ ও হাজার হাজার রেল যাত্রীর নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। খোয়া যাচ্ছে যাত্রীদের স্বর্ণালঙ্কার মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র।
রেলের যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়োজিত রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপির) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং যৌথবাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। রেলস্টেশন এলাকার অপরাধীদের দমনে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানও প্রত্যাশা করছেন ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয় সচেতন মহল।
রেলযাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনগুলো জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছামাত্রই অপরাধীরা ট্রেনের প্রতিটি দরজায় ভীড় করে যাত্রীদের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে, টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
গত শুক্রবার আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার সময় প্রেস ক্লাব জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক সময় টেলিভিশন জামালপুর জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ-তারাকান্দি রেলরুটে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস ও বিজয় এক্সপ্রেসসহ ১০টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। এসব ট্রেনে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী কোনো না কোনোভাবে অপরাধীদের টার্গেটের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন।
জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি রোকন উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামালপুর রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ছিল। তবে রেলওয়ে পুলিশের তৎপরতায় ইতোমধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা